বঙ্গ সংস্কৃতি নিয়ে ছিনিমিনি? রবীন্দ্র-জয়ন্তীতে তৃণমূলের ‘জামাই-পুজো’ নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক! তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য May 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল ছিল ২৫ সে বৈশাখ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। করোনার রক্তচক্ষুর মধ্যেও রাজ্যের বেশ কিছু স্থানে পালিত হয়েছে এই দিনটি। একাধিক জেলায় রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়েছে। কিন্তু বর্ধমান শহরে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ দেখা যাচ্ছে, এই শহরের এক এলাকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবির একপাশে ঠাঁই পেয়েছেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, অপরপাশে ঠাঁই পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা খোদ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তাই বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর থেকে জয়ী হয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুরবাড়ি হল বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুর অঞ্চলে। রাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীর পিতা-মাতা গতকাল এই অঞ্চলে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। গতকাল এখানেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবির একপাশে দেখা যায় রাজ্ চক্রবর্তীকে, অন্যপাশে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই নিয়ে নানা প্রশ্ন শুরু করেছে। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে শ্বশুরমশাই কিভাবে নিজের জামাই বাবাজিকে পূজা করলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ প্রসঙ্গে শুভশ্রী গাঙ্গুলীর পিতা দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলী জানালেন, তাঁর জামাই রাজ্ চক্রবর্তী বিধায়ক হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাই আনন্দ উদযাপন করছেন তিনি। তবে এই ঘটনা যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূলকে। এক তৃণমূল নেতা জানালেন, দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলির পরিবার আগে সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এখন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নতুন করে তৃণমূল এসেছেন বলে, কিছুটা বেশি দেখাচ্ছেন তিনি। বাঙালি সংস্কৃতির পরাকাষ্ঠা বলে যারা নিজেদের সর্বদা পরিচয় দিয়ে থাকেন, তাদের এই কার্যকলাপ যথেষ্ট সমালোচনায় ফেলে দিয়েছে দলকে। এ প্রসঙ্গে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কবি সন্দীপ নন্দী জানালেন, এ বিষয়ে কিছু বলার থাকে না। যারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন, তাঁরা সকলেই শিক্ষিত, কেউ অশিক্ষিত নন। রবীন্দ্রনাথ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্ চক্রবর্তীকে কি এক আসনে কখনো আনা যায়? তিনি জানালেন, এই কাজের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা হয়নি, অপমান করা হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। গতকালের ঘটনা দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে গেছে। শ্বশুরমশাইয়ের জামাই পুজো নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বহু মানুষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে এক আসনে কিভাবে জামাইকে ও মূখ্যমন্ত্রীকে তিনি বসালেন? তা নিয়ে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বর্ধমান জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানালেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রয়েছেন সবার উপরে। সবার ওপরে রয়েছে কবিগুরুর স্থান। তবে বাজেপ্রতাপপুর অঞ্চলে কি ঘটনা ঘটেছে? সে বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। আপনার মতামত জানান -