এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির জন্য নতুন সুখবর নিয়ে হাজির হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র! জানুন বিস্তারিত

ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির জন্য নতুন সুখবর নিয়ে হাজির হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র! জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বছরের শেষে বাইরে ঢুঁ মরার অভ্যেস অনেকেরই আছে। সারাবছর কাজের মধ্যে ডুবে থাকার পর পুজোর সময় বাইরে কিছু দিন স্বস্তিতে সময় কাটাতে না পারলে সারাবছরের যেন এনার্জিই পাওয়া যায় না। বাইরে দূরে কোথাও না হোক, অন্তত দীঘা পুরী দার্জিলিং তো চাই-ই চাই। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে বিদেশে যাওয়া তো দূর অস্ত, রাজ্যের মধ্যেই অন্যত্র যাওয়ার সাহস করতে পারছেন না সাধারন মানুষ। আম জনতার মধ্যে করোনা পরিস্থিতির প্রভাব এখনো যথেষ্টই রয়েছে। তবে সেই জন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো যে যথেষ্ট মার খাচ্ছে একথা বলাই বাহুল্য। আর তাই মানুষকে ভ্রমণের স্বাদ দিতে নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।

সম্প্রীতি পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলার আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র ও বিভিন্ন পরিষেবা সামনে রেখেই পর্যটক টানার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিমানে করে যাওয়ার খরচ, বা ট্রেনে দীর্ঘ সফর করার সমস্যা না থাকায়, বড় বাজেটের ঝক্কি নেই। তাই ‘রোড ট্রিপ’-এর মজা নিতে চাইছেন অনেকেই। রাস্তায় যাতে যাতায়াত সহজ ও বিনোদনমূলক হতে পারে, সেই জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এর পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলেছে বলে জানা গেছে। রাস্তার ধারের ‘পথসাথী’ গাড়ি করে দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি মেটাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে পুজোর ছুটিকেও যথার্থই কাজে লাগানো যাবে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সরকার থেকে জাতীয় সড়কের পাশে ছোট-ছোট মোটেল তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে। প্রায় সবক’টি জেলার মধ্যে যোগাযোগের রাস্তার ধারে এমন পথসাথী তৈরিও হয়ে গেছে। তথ্য সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাস্তার ধারের এই মোটেলগুলিতে এসি ঘর যেমন রয়েছে, তেমনই আলাদা করে ওয়াশরুমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামান্য সময়ের জন্য একটু বিশ্রাম নিয়ে খাওয়াদাওয়া সেরে ফের যাত্রা করার যাবতীয় ব্যবস্থায় রয়েছে এখানে। আপাতত ২৩টি জেলায় আপাতত ৬৫টি এমন পথসাথী মানুষের সেবায় খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই দায়িত্ব নিয়ে এগুলি চলায় বলেও জানা গেছে। আর করোনা পরিস্থিতিতে এই মোটেলগুলিই পর্যটনে বাড়তি সাহায্য করবে বলে মনে করছে পর্যটন দপ্তর।

অন্যদিকে, পর্যটন ব্যবসায়ীর কথায়, রাজ্যের রাস্তা এখন যথেষ্ট ভাল। তাই ‘রোড ট্রিপ’ এবারের পুজোয় ভ্রমণের সব থেকে সহজ পরিকল্পনা হতেই পারে। অন্যদিকে বাসে বা ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষের ভয় রয়েছে। পরিবার নিয়ে গাড়ি করে বেরিয়ে পড়লে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও হবে, আর সেই সঙ্গে মনের মধ্যে করোনা নিয়ে সংকোচও থাকবে না। এরই সঙ্গে ছোট ১৫—২০ সিটের বাস ভাড়া নেওয়ার প্রবণতাও দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যাতে ছোট পরিবার বা কয়েকজন বন্ধু—বান্ধব যেতে পারবেন। সেইসঙ্গে অচেনা জায়গা নিয়ে আগ্রহও এবার খুব বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে।

কারণ, অনেকই মনে করছেন, এইসব জায়গায় ভিড় কম হবে। বেড়ানোর আনন্দ যেমন থাকবে, সেইসঙ্গে করোনার সময় ভিড়ও এড়ানো সহজ হবে। হোটেলের থেকে তাই হোম-স্টে’র প্রতিই নজর বেড়েছে মানুষের। হোম—স্টে হলে লোকজন কম থাকবে। জীবাণুনাশের ক্ষেত্রেও বাড়িতে নজর দেওয়া যাবে বেশি। আর রোড-ট্রিপে যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য পথসাথী অনেকটাই সুবিধা করে দেবে বলেই দপ্তর সূত্রে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!