এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাঙালির হেঁশেলে আগুন! হাসি ফোটাতে কোমড় বেঁধে ময়দানে মমতা! আমজনতার মুখে ফুটবে হাসি?

বাঙালির হেঁশেলে আগুন! হাসি ফোটাতে কোমড় বেঁধে ময়দানে মমতা! আমজনতার মুখে ফুটবে হাসি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার আক্রমণে বাঙালির এখন দিশেহারা অবস্থা, দিনে দিনে করোনা সংক্রমণের ক্রমবৃদ্ধি যখন আতঙ্কগ্রস্থ করছে বাঙালিকে, ঠিক সেই পরিস্থিতিতেই বাঙালির কপালে ভাঁজ ফেলতে উদ্ভব ঘটেছে আরও একটি সমস্যার। তা হলো শাক-সবজির বিশেষত, আলুর ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি। অতিমাত্রায় মূল্য বৃদ্ধির ফলে অন্যান্য শাক-সবজি কম খেয়ে বা কিছুদিন না খেয়েও বাঙালির চলে যেতে পারে। কিন্তু আলু ছাড়া বাঙালি চলতেই পারে না। সম্প্রতি মাত্রাছাড়া আলুর দামের বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত বাঙালির পাত খালি হবার জোগাড়। তাই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছুদিন আগে একটি বিশেষ নির্দেশ জারি করেছিলেন। এরবার আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করে দিল নবান্নের টাস্ক ফোর্সের একটি বৈঠক।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে আলুর উৎপাদন এবার যথেষ্ট ভালো হয়েছে। তবু আলুর দামের এই ব্যাপক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা লকডাউনের কারণে যানবাহনের অপ্রতুলতলাকে দায়ী করেছেন। তবে পরিবহনের কারণে আলুর দাম কিছুটা হয়তো বাড়তে পারে কিন্তু আলুর দাম বৃদ্ধির মূল কারণটি লুকিয়ে আছে অন্য স্থানে। প্রতিবেশী বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগড়, ওড়িশাতে চলে যাচ্ছে পশ্চিমবাংলার আলু। এর উপরে রাজ্যের হিমঘর গুলিতে রাখা হচ্ছে বস্তা বস্তা আলু, সময়মতো বের করে বেশি মুনাফার আসায়। ফলত, জোগানে ঘাটতি হাওয়ায় বাজারে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে আলুর দাম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সংবাদসূত্রে জানা গেছে, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য নবান্নে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকে স্থির মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, ৪০ বস্তার অধিক আলু হিমঘরে রাখা যাবে না। সেই সঙ্গে জ্যোতি আলু কৃষকদের কাছ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে তার সঙ্গে পরিবহন খরচ বাবদ ১ টাকা ধরে এই আলু পাইকারি বাজারে ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করতে হবে, আর এর সঙ্গে জ্বালানি খরচ বাবদ ২ টাকা যোগ করে মোট ২৫ টাকাতে আলু বাজারে বিক্রি করতে হবে।

নবান্নের তরফ থেকে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী সপ্তাহের বুধবারেই মধ্যেই আলুর দাম কমাতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী বুধবার থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কৃষকদের কাছ থেকে আলু সংগ্রহ করে আগামী ১৫ ই আগস্টের মধ্যে সেই আলু কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য পাইকারী বাজারে আবশ্যিক ভাবে পৌঁছে দিতে হবে। জনগণ যাতে স্বাধীনতা দিবসের আগে থেকেই ন্যায্যমূল্যে বাজার থেকে আলু কিনতে পারে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবে রাজ্য সরকার। আর তাই সবমিলিয়ে, আলুর দর নিয়ন্ত্রণে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোমড় বেঁধে নামলেন, তাতে করোনার এই কঠিন সময়ে আমজনতার মুখে হাসি ফোটে কিনা সেদিকেই আপাতত লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!