প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইটি তৃণমূল বনাম বিজেপির ভোটযুদ্ধ হতে চলেছে। এই নির্বাচনকে প্রেস্টিজিয়াস ফাইট হিসেবে দেখতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এবার শাসক দল তৃণমূলকে চাপে ফেলতে দলের যুবমোর্চার উপরে বিশেষ ভাবে আস্থাবান বিজেপি। আগামী কাল বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও দাবি নিয়ে ‘নবান্ন অভিযান’ এর ডাক দিয়েছেন।

তাঁর এই অভিযানে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য। আগামীকাল বিজেপির এই দুই যুব সভাপতি সকাল ১০ টায় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাত্রা করতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৫ দিন আগে যুবনেতা তেজস্বী সূর্যকে বিজেপির সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি পদে অভিষিক্ত করা হয়। সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে আগামীকাল প্রথম তিনি প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে চলেছেন।

বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি একাধিক অভিযোগ করে জানালেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ায়ের উসকানিতে বাংলার যুবকরা আজ দিগভ্রান্ত। তাঁরা যাবতীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বাংলার সেই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার পুনর্বার উদ্ধার করার সময় এসেছে। বাংলা পরিবর্তন চায় এবং যুবকদের জন্য বিজেপি হ’ল পরিবর্তনের সোপান। বাংলার যুবকদের এই পথে আনতে হবে।”

প্রসঙ্গত, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সমগ্র রাজ্যজুড়ে অবস্থান প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় মাহাতো, সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতা অংশগ্রহণ করতে চলেছেন এই কর্মসূচিতে। আগামীকাল হেস্টিংস থেকে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এই কর্মসূচিকে নেতৃত্ব দেবেন।

প্রসঙ্গত পুজোর আগেই শিলিগুড়িতে এসে বিজেপির সদস্য দের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বক্তব্য রাখার সম্ভাবনা আছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সেই সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের কার্যের সূচনাও করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পূর্বেই বিজেপির এই বিশেষ প্রতিবাদ কর্মসূচির বিশেষ আয়োজন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্যর বক্তব্য, “আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বাংলার মানুষ। আমরা বাংলার যুব সমাজের কাছে অনেক ঋণী। আমরা মমতা দিদির অত্যাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলার এবং বাংলার প্রতিভাবান যুবকদের জন্য নতুন যুগের সূচনা করব। ”

আগামীকালের এই অবস্থান বিক্ষোভে একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। যার মধ্যে আছে এসএসসি, টেট পরীক্ষার নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি, স্বচ্ছতার অভাব, সেইসঙ্গে রাজ্যে বেকারত্বের ব্যাপকহারে বৃদ্ধি, বেকারদের স্থায়ী কর্মসংস্থানে সরকারের অক্ষমতা, বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বয়সসীমা বৃদ্ধিতে সরকারের ব্যর্থতা ইত্যাদি। আবার মণীষ শুক্লা সহ সহ একাধিক বিজেপির নেতা-কর্মীর হত্যার বিষয়েও প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি। এর সঙ্গেই বিজেপি দাবি জানাতে চলেছে, পিএসসিকে দুর্নীতিমুক্ত করার, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সহজতর করার,