প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও দেশের ৬ টি রাজ্যকে নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে বাংলার ৬ জেলাকে নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখেছিলেন অনেকেই। করোনার চেন ভাঙ্গা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে, তাতে সেই কথা যে কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা নিয়ে সন্দেহ তুলেছেন অনেকেই। তবে জানা গেছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী। তাই ভবিষ্যতে হয়তো পাওয়া যাবে খানিকটা শান্তি। সেই সঙ্গে মানুষের মনোবল বাড়ানো হলেও মানুষ অনেকাংশেই রোগ জয় করতে পারবে বলেও জানা গেছে।

রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ১৮১ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই রয়েছে ৬৬৮ জন করোনা সংক্রমিত। যদিও আগের তুলনায় সেই সংখ্যাটা কম। তবুও উত্তর ২৪ পরগনায় চেহারা বেশ চিন্তার। একদিনে সেখানে করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৮ জন। এরপরই সেই আক্রান্তের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাম। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৪জন, হাওড়াতে ১৭০জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪৬ জন ও হুগলিতে ১৪০ জন। তবে পূর্ব বর্ধমানে সেই সংখ্যাটা ৫৬জন, বীরভূমে ৭৭জন, পুরুলিয়াতে ৫৬ জন। তাই আগে থেকে এই সব জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা আগের তুলনায় কম বলেই জানা গেছে। সেই সঙ্গে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৪০ জন। এখানে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। তার মধ্যে কলকাতায় মৃত যেখানে ১৩ জন, সেখানে উত্তর ২৪ পরগনায় করোনাতে ১৪ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বাংলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন হারিয়েছেন ৪ হাজার ৭২১ জন।

তবে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হলেও রাজ্যবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও। আর ডাক্তারদের কথায় এতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে বেশিরভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস ২৫ হাজার ৫৪৪। যদিও গ্রাফটা গত দুদিনে উপরের দিকেই উঠেছে। তবুও আশা জাগিয়ে সেই সঙ্গে বাড়ছে সুস্থতার হারও। জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৯৫৫ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৭৫ জন। ফলে এখন সুস্থতার হার ৮৭.৬১ শতাংশ হয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনা মোকাবিলায় কোমর বেঁধে এরই সঙ্গে লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে চলার পাশাপাশি ট্রেসিং, ট্র্যাকিং ও টেস্টিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত করোনা রোগীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কারণ তাদের উদ্দেশ্য দ্রুত আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তাই রোজই অল্প অল্প করে বাড়ছে টেস্টিংয়ের সংখ্যা। যতদিন না পর্যন্ত ভ্যাকসিন আসছে ততদিন ভরসা টেস্টিং। তাই ক্রমশ বাড়ানো হচ্ছে পরীক্ষা। এদিন করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ২৮৫ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৯ জনের। তাই এরই মধ্যে সুস্থতার হার অনেকটা স্বস্তি দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।