প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দূর্গা পূজার সময় বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর যে ব্যাপক নির্যাতন ঘটেছে, তার প্রতিবাদ করেছেন অনেকেই। ওপার বাংলা থেকে শুরু করে এপার বাংলার বহু বিশিষ্টজন যেমন তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তেমনি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বহু রাজনীতিবিদ। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার কেন তেমন প্রতিবাদ জানাননি? সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরব থাকার কারণও বলে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের উপদূতাবাসে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে ফেরার পর এ বিষয় নিয়ে তিনি বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন। শুভেন্দু অধিকারী জানান, বাংলাদেশের সনাতন হিন্দুদের উপর বারবার হিংসার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তিনি। বিশ্বের যেকোন প্রান্তে হিন্দুরা যদি বিপদে পড়েন, তবে তাদের অধিকার ও সুরক্ষার জন্য তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে প্রবল কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। গণমাধ্যমের সামনে তিনি জানান, তৃণমূলকে ঘুমোতে বলতে। ভবানীপুরে প্রচার এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, তিনি হলেন হিন্দু ঘরের মেয়ে, একারণে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে রোমে যাবার অনুমতি দেননি। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের ঘটনা একেবারেই চুপ করে রয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেছেন, ভোটব্যাঙ্ক চলে যাবে এই ভয়েই কি তিনি পাঁচ দিন ধরে নীরব হয়ে রয়েছেন?

এরপরই শুভেন্দু অধিকারী জানান যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের ভোট পেয়েছেন বলেই তাঁর কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ২০১৯ সালে সবার সামনে তিনি জানিয়েছিলেন যে, যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খাওয়াও ভালো। বাংলাদেশ নিয়ে তিনি যদি কিছু বলেন, তবে দুধেল গাইরা চটে যাবেন, আর এ কারণেই তিনি চুপ করে রয়েছেন। কিন্তু বাংলার মানুষ সমস্ত কিছুই দেখছেন।

তিনি জানান বাংলাদেশের সনাতন হিন্দুরা হলেন তাঁর আত্মীয়। অবিলম্বে তাদের উপর অত্যাচার বন্ধ করা হোক। এভাবে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড়সড় বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পাল্টা জবাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কি বক্তব্য রাখা হয়? সেদিকেই দৃষ্টি সকলের।