প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে ব্যাপক নির্যাতন ঘটেছে, তার প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছেন বহু মানুষ। তবে বিজেপির অভিযোগ, এ বিষয় নিয়ে তৃণমূল এখনো পর্যন্ত পথে নামেনি। সমস্ত বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখলেও, এ বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই নিরব। এই ধরনের অভিযোগ যখন বারবার উঠেছে বিজেপির পক্ষ থেকে, সেই আবহেই বাংলাদেশের হিংসা বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের হিংসাকে ঢাল করে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি।

খড়দহ একটি সভায় যোগদান করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই প্রচার সভা থেকে তিনি জানালেন যে, বাংলাদেশে ঘটে চলা হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল কখনোই তা করেনা। কারন আমাদের দেশ হলো ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। কোন ধর্মেরই দেবদেবীর স্থান ভাঙ্গাকে কখনোই সমর্থন করেনা তৃণমূল। তৃণমূল হিংসার পক্ষে নয়। মৌলবাদীদের কখনোই সমর্থন করে না তৃণমূল।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কটাক্ষ করেছেন যে, বিজেপি তৃণমূলকে ভয় পেতে শুরু করেছে। বিজেপি বুঝতে পেরেছে যে, ত্রিপুরাতে তাদের ক্ষমতা চলে যাবে। এ কারণে ত্রিপুরাতে বিজেপি ভয় পেয়েছে। রাজ্যের মহিলা সদস্যদের মারধর করছে বিজেপি। সাত বছর ধরে দেশটাকে একেবারে রসাতলে পাঠিয়ে দিয়েছে বিজেপি। সবকিছুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। মানুষের উঠছে নাভিশ্বাস।

এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিকল্প একটা ফ্রন্ট দেশে তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে, আর মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে বাংলাদেশের হিংসার ঘটনাকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে বিজেপি। তিনি দাবি করেছেন, বিজেপি বুঝতে পেরেছে যে, মানুষ আর তাদের সঙ্গে নেই। এ কারণে এ সমস্ত কাজ করছে বিজেপি।

এভাবেই বাংলাদেশের হিংসার ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বক্তব্য রাখলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ইতিপূর্বেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলাতে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, ভোটের পূর্বে ফায়দা তুলতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে তিনি একেবারেই নীরব। সারাবিশ্ব এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেও, প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনা নিয়ে কোন কিছুই বলেননি।