প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রামে জমজমাট লড়াই হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। টানটান উত্তেজনা ছিল সারাদিন ধরে। দুপুরবেলায় জানা গিয়েছিল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন। কিন্তু সন্ধ্যের পর জানা যায় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন নন্দীগ্রাম থেকে জয়লাভ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম থেকে পরাজয় নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রবল কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

সম্প্রতি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর এক্সাইজ ডিউটি কমিয়ে দেয়া হলেও রাজ্যের পক্ষ থেকে পেট্রোপণ্যের উপর ভ্যাট কমানো হয়নি। যার ফলে পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি থেকে খুব একটা রেহাই মেলেনি সাধারণ মানুষের। পেট্রোল-ডিজেলের উপরে ভ্যাট কমাবার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। আজ তমলুকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি। মিছিল শেষে বেশ কিছু বক্তব্য রেখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামে ভোটের জন্য বাংলাদেশ থেকে জাল ভোটার নিয়ে এসেছিল তৃণমূল। কিন্তু এরপরও জিততে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কানের কাছে সবসময় বাজবে যে, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে তিনি হেরে গেছেন। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি জানান, আগে হেলিকপ্টারে চড়তেন ভাইপো, এখন মাসে তিন কোটি টাকাতে প্লেন ভাড়া করে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তিনি। তিনি জানালেন তৃণমূল সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর বাড়তি সেস বসিয়ে, মদ বিক্রি করে বেঁচে আছে।

শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, বেকার যুবক-যুবতীদের ধ্বংস করে চলেছে তৃণমূল সরকার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে একটি ভাতা নির্ভরশীল রাজ্যে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যটাকে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে পরিণত করা হয়েছে। রেশন ব্যবস্থার মধ্যে লুকিয়ে আছে একের পর এক দুর্নীতি। এই ব্যবস্থায় সরকারের সুবিধা হলেও মানুষের কোন সুবিধা হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে জোর করে পদত্যাগ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।