বাংলা দখলের লক্ষ্যে নেপথ্যের নায়ককে আরও ক্ষমতাবান করল বিজেপি, ভোটের আগে আরও চাঙ্গা দল? জাতীয় বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অভিনেতারা অভিনয় করলেও, পর্দার আড়ালে থাকেন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। কোনোকালেই তাদের প্রকাশ্যে দেখা যায় না। রাজনীতিতেও এমন কিছু ব্যক্তি প্রতিটা রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই থাকেন। বিজেপিতে তেমনই একজনের নাম শিবপ্রকাশ। বর্তমানে বিজেপি বাংলাকে যখন পাখির চোখ করেছে, তখন সেই লড়াইয়ের অন্যতম সেনাপতি তিনি। কিন্তু কখনই সামনের সারিতে আসতে দেখা যায়নি তাকে। বরঞ্চ পেছন থেকেই কিভাবে কোন রণকৌশলে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতে হবে, তার দিক নির্ণয় করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই শিবপ্রকাশকেই এবার বড় দায়িত্ব দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশকে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, মহারাষ্ট্র, অন্ধপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার দায়িত্ব দেওয়া হল। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপিতে এতগুলো রাজ্যের দায়িত্ব একজন নেতার ঘাড়ে দিয়ে দেওয়ায় শিবপ্রকাশের যে সংগঠনে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং বিজেপি যে তাকে কাজে লাগাতে চাইছে, তা কার্যত পরিষ্কার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর পড়ে শিবপ্রকাশ বিজেপিকে যথেষ্ট উন্নতির দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে এবার যে সমস্ত রাজ্যের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে মধ্যপ্রদেশ ছাড়া কোনো রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় নেই। স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ, বিজেপিকে এই সমস্ত রাজ্যে সাফল্য পাইয়ে দেওয়া। বলা বাহুল্য, 2021 সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমুল ক্রমাগত নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা নানা রণকৌশন তৈরি করে গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলা হচ্ছে। শাসকদলের ঘর ভেঙে একাধিক হেভিওয়েট নেতা নেত্রীকে যোগদান করানো হচ্ছে বিজেপিতে। আর এই পরিস্থিতিতে শিবপ্রকাশের মত নেতাকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে দেওয়ায় তিনি কতটা একসাথে এতগুলো রাজ্যে বিজেপিকে সাফল্যের মুকুট পড়িয়ে দিতে পারবেন, সেটা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয় রাজনৈতিক মহলের কাছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলতে শুরু করেছেন, এটাই শিবপ্রকাশের সাংগঠনিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যদি তার হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তিনি সংগঠনের যে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছে যাবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় নেই, সেখানেও এই শিবপ্রকাশের মত নেতা দায়িত্ব পাওয়ায় সেখানকার সংগঠন কতটা শ্রীবৃদ্ধি হয়, সেটাও অবশ্য অনেকের কাছে আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, “দুই থেকে সাংসদ সংখ্যা 18 তে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে 48 মাসের পরিকল্পনা বানিয়েছিলেন শিবপ্রকাশ। 2014 সালে মোদি সরকার বিপুল ক্ষমতা নিয়ে আসার পরেই দিল্লিতে একটি সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছিলেন অমিত শাহ। তখন থেকেই তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, এবার পূর্বের দিকে নজর দিতে হবে। আর সেই পরিকল্পনায় আগরা থেকে বাংলায় এসেছিলেন শিবপ্রকাশ।” অর্থাৎ বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের কাছে শিবপ্রকাশের অবদান যে অসামান্য এবং তিনি না থাকলে যে লোকসভা নির্বাচনে এত ভালো ফল করা সম্ভব হত না, তা কার্যত পরিষ্কার। স্বাভাবিক ভাবেই এখন সেই শিবপ্রকাশ আরও গুরুদায়িত্ব পাওয়ায় তিনি একসাথে এতগুলো দায়িত্ব কতটা সফলতার সঙ্গে পালন করতে পারেন, সেটাই সকলের কাছে গুঞ্জনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তার মত দক্ষ সাংগঠনিক নেতার ক্ষেত্রে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে কাজ করা খুব একটা চাপের হবে না বলেই দাবি করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর শিবপ্রকাশ কিভাবে দলকে সাফল্যের মুখ দেখান, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -