এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাংলা জিততে মরিয়া বিজেপি, শক্তি বাড়াতে বুথস্তরে নজর

বাংলা জিততে মরিয়া বিজেপি, শক্তি বাড়াতে বুথস্তরে নজর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই গেরুয়া শিবিরের তৎপরতা বাড়ছে। বাংলার রাজনৈতিক মসনদ দখল এই মুহূর্তে পাখির চোখ বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এ রাজ্যে পায়ের তলার মাটি শক্ত করে তাঁরা। আর তারপর থেকেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য বানিয়ে নেয় পদ্ম শিবির। লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে, এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গে এবং জঙ্গলমহলে অন্যান্য জায়গার থেকে তুলনামূলক ভালো ফল করে বিজেপি। আর তাই বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও রাজ্যের এই দুই অঞ্চলে গেরুয়া শিবির তাঁদের শক্তি আরো বাড়াতে বদ্ধপরিকর।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র বিরোধিতা করে নয়, বরং বুথস্তর থেকে সংগঠন সাজাতে পারলেই রাজ্যের বিধানসভার দখল নেওয়া অনেক বেশি সহজ হবে। সেই অনুযায়ী রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এবার প্রত্যেকটি বুথে নজর দেওয়া শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কোচবিহার জেলায় বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির একাধিক কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের নেতারা হাজির হচ্ছেন। জেলার গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। অন্যদিকে কোচবিহার জেলার দলের পর্যবেক্ষক সম্প্রতি পরিবর্তন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য সহ-সভাপতি দীপেন প্রামাণিককে। সর্বোপরি বিজেপির লক্ষ্য, রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার বুথ শক্তিশালী করা। আর তাই বুথস্তরের সংগঠনকে আরো বেশি সংগঠিত করতে ইতিমধ্যেই একের পর এক বৈঠক চলছে। সূত্রের খবর, গত পয়লা জানুয়ারি দলের কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের নেতৃত্বরা কোচবিহার জেলায় বৈঠকে বসেছিলেন। আগামী 27 জানুয়ারি আবার কোচবিহারে আসছেন দীপেন প্রামাণিক। তিনি কোচবিহার জেলার বিধানসভা কেন্দ্রের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা জানিয়েছেন, সংগঠনকে সাজানোর জন্য কাজ অনেক আগে থেকেই চলছে, দলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা নিয়মিত জেলায় আসছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে কোচবিহার জেলার সিতাই ও শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্র বাদ দিয়ে বাকি সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে ছিল। লোকসভা নির্বাচন পেরোনোর পর জেলার বহু গ্রাম পঞ্চায়েত অবশ্যম্ভাবীভাবে বিজেপির দখলে গিয়েছিল। বেশ কিছুদিন এরকম পরিস্থিতি চলার পর আবারও শাসকদল আস্তে আস্তে ছন্দে ফেরে। তাঁরাও বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে শুরু করে। এদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গ নিয়ে ইতিমধ্যেই লড়াই শুরু তৃণমূল এবং বিজেপির। ইতিমধ্যে বিজেপি কোচবিহার জেলার সংগঠনকে আরো শক্তপোক্ত করার কাজে নেমেছে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেলার 90% বুথ কমিটি তাঁরা ইতিমধ্যেই গঠন করে ফেলেছে।

কোচবিহার জেলা ঘুরে গিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল জেলায় এসেছেন। বুথস্তরকে আরো পাকাপোক্ত করতে সম্প্রতি ক্ষমতা রদবদল হয়েছে এই জেলার। সব মিলিয়ে রাজ্যের তৃণমূল শক্তিকে হারাতে রীতিমত উঠে পড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির। একদিকে যখন বিজেপি নিজেদের সংগঠনকে শুধুমাত্র বিরোধিতার হাওয়ায় ভাসিয়ে না দিয়ে বুথস্তর থেকে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার দিকে নজর দিয়েছে, তখন কিন্তু অন্যদিকে অর্থাৎ তৃণমূল শিবিরে কিন্তু সংগঠন ক্রমশ ভাঙছে যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ এইমুহুর্তে শাসকদলের কাছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!