এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলা জয়ের পর এবারের শহীদ দিবসে কি ভারত জয়ের বার্তা দেবেন মমতা? আশায় নেতা-কর্মীরা!

বাংলা জয়ের পর এবারের শহীদ দিবসে কি ভারত জয়ের বার্তা দেবেন মমতা? আশায় নেতা-কর্মীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ব্যাপক বিজেপির হাওয়া থাকা সত্ত্বেও, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাংলা দখল করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক রদবদলের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবার তাদের টার্গেট 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরা। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই সংগঠনকে সাজাতে শুরু করেছেন তিনি।

তবে প্রতিবার তৃণমূলের বাৎসরিক বড় কর্মসূচি একুশে জুলাইয়ে দলের রণকৌশল কি হবে, তার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে বাংলায় বিপুল জয় পেয়ে ক্ষমতা দখল করার পর 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আর কিছুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হওয়া তৃণমূলের একুশে জুলাই থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বার্তা দেবেন, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা। একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের একুশে জুলাই থেকে ভারতজয়ের ব্যাপারে দলকে প্রস্তুত থাকার বার্তা দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাংলা দখল করার পরেই সারা ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী মহাজোট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে এতদিন বাংলায় একুশে জুলাই মহাসমারোহে পালিত হলেও, এবার তা অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে কি বার্তা দেন, তার দিকেই নজর রয়েছে দলের নেতা থেকে কর্মীদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী এবারের একুশে জুলাইয়ের বক্তব্য যেমন বাংলায় বিপুল জয়ের জন্য দলের নেতা কর্মীদের অভিনন্দন জানাতে পারেন, ঠিক তেমনই দেখাতে পারেন ভবিষ্যতের পথ। এক্ষেত্রে এবার অন্যান্য রাজ্যে যে ধীরে ধীরে সংগঠন তৈরি করার বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো, তা বলাই যায়। পাশাপাশি 2024 এ যে তাদের লক্ষ্য যে দিল্লি, সেই ব্যাপারেও দলের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে আওয়াজ তুলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা বাংলায় তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী থাকলেও, দেশের আর অন্য কোনো রাজ্যে সেভাবে তৃণমূলের সংগঠন নেই। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই কাজ করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, 2011 সাল থেকে 2021 সাল পর্যন্ত 10 বছর রাজ্যের ক্ষমতায় থেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া সহ বিরোধীদের চাপের কারণে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবুও নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহের ব্যাপক প্রচার থাকা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশমাকে খাটো করে দেখা সম্ভব হয়নি। তৃতীয়বারের জন্য তার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন হয়েছে।আর তারপরই দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ব্যাপক অভিনন্দনের বন্যা বয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। যার ফলে ধীরে ধীরে জাতীয় রাজনীতিতে প্রাধান্য বেড়েছে তার।

তাই এই পরিস্থিতিতে সামনে তৃণমূলের একুশে জুলাই দলের নেতাকর্মীদের কাছে আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেভাবে করোনা ভাইরাসের কারণে একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠান ধর্মতলায় না হলেও ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের গুরুত্ব যে এবার অপরিসীম হয়ে উঠতে চলেছে বাংলা এবং জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে, তা বলাই যায়। অর্থাৎ আগামী দিনে দলের রণনীতি কি হবে এবং 2024 কে সামনে রেখে দল কিভাবে লড়াই করবে, সেই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের একুশে জুলাই থেকে বড় বার্তা দিতে পারেন বলেই জল্পনা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে একুশে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য বাংলা ছাড়িয়ে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কতটা গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!