এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বাংলা থেকে ৬ আলকায়দা জঙ্গি ধরা পড়লেও, তালিকায় থাকা আরও ৪ পালিয়েছে জাল কেটে! বাড়ছে দুশ্চিন্তা

বাংলা থেকে ৬ আলকায়দা জঙ্গি ধরা পড়লেও, তালিকায় থাকা আরও ৪ পালিয়েছে জাল কেটে! বাড়ছে দুশ্চিন্তা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের বুক থেকে শনিবার আল-কায়দা জঙ্গি ধরা পড়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে তুমুল জল্পনা। জঙ্গী নাম শুনলেই মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তার ওপরে যখন আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম উঠে এসেছে, তখন তা খুব স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দলবল নিয়ে জঙ্গী ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তাঁদের হাতে কিন্তু এসেছে আংশিক সফলতা। জানা গেছে, 6 জন আল-কায়েদা জঙ্গী বাংলা থেকে ধরা পড়লেও আরও 4 জন জঙ্গির নাম ছিল তালিকায়, যারা সুযোগ বুঝে চম্পট দিয়েছে।

মুর্শিদাবাদের ডোমকল, জলঙ্গি থেকে শনিবার 6 জন আল-কায়েদা জঙ্গি ধরা পড়ে। যাদের কাছ থেকে বেশকিছু জেহাদী নথি এবং অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দলটি জঙ্গী এলাকা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল না থাকার দরুণ 4 জঙ্গি তার সুযোগ নেয়। সঠিক সময় সঠিক জায়গায় না পৌঁছাতে পারার কারণে এনআইএর দিল্লির দল 6 জন জঙ্গি কে ধরতে পারলেও 4 জন জঙ্গি তাঁদের হাত ফসকে পালিয়েছে বলে জানা গেছে।

তদন্তকারীদের সন্দেহ, ফারার জঙ্গিরা সীমান্ত অতিক্রম করেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারে জঙ্গি গ্রেপ্তার ক্রিয়াকলাপে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন বিএসএফের জওয়ানরা। জলঙ্গি ও ডোমকল থানা তল্লাশির ব্যাপারে জানলেও তাঁরা প্রত্যক্ষ সহায়তায় অংশ নেয়নি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জঙ্গী হিসেবে ছয় জনকে ধরার পর প্রথমে নাম বিভ্রাটের জন্যই প্রথম তিনজন যাদের আটক করা হয়েছিল, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই বিভ্রান্তির সুযোগে অন্য চার জন জঙ্গি এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বলে জানা গেছে। এনআইএর একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, জলঙ্গি এবং ডোমকল থানা এলাকার পাঁচ ছটি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি চলছিল। কিন্তু এলাকার পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধরে এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ধৃত মুর্শিদ হাসান আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ এর সংস্পর্শে এসে আল-কায়দার নেটওয়ার্কে জড়িয়ে পড়ে।

প্রসঙ্গত, মুর্শিদ হাসান ডার্ক ওয়েবের ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। তাঁর সূত্রেই জলঙ্গীর মধুপুরের মইনুল মন্ডল এই নেটওয়ার্কে জড়ায়। এরপর জলঙ্গি এবং ডোমকল থানা এলাকার 500 টি গ্রামের 10 যুবককে নিয়ে আল কায়দার নির্দেশ অনুযায়ী একটি স্থানীয় মডিউল তৈরি করা হচ্ছিল। এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে পাকিস্তান থেকে নির্দেশ আসে অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করার। সেই অনুযায়ী চকলেট বোমার মসলা জোগাড় করে সকেট বোমা তৈরি, দেশি একনলা পিস্তল কেনা, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট তৈরি হচ্ছিল গোপনে।

তল্লাশিতে গোয়েন্দা সংস্থা এগুলোই উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরীক্ষিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আপাতত গোয়েন্দাদের চিন্তা অন্য জায়গায়। যে চারজন জঙ্গী গোয়েন্দাদের হাত ফসকে পালিয়ে গেল, এই মুহূর্তে তাঁরা সক্রিয় না হলেও পরবর্তীতে আবারও তাঁরা সক্রিয় হতে পারে এলাকায় এবং ভারতের বুকে যে কোন মুহূর্তে ঘটাতে পারে জঙ্গি হামলা। তবে এই মুহূর্তে ওই চারজন জঙ্গিদের সম্পর্কে সমস্ত রকম খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!