এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > লকডাউন শিথিল হতেই হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে সংক্ৰমণ! আতঙ্ক বাড়িয়ে সামনে এল চমকে দেওয়া তথ্য!

লকডাউন শিথিল হতেই হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে সংক্ৰমণ! আতঙ্ক বাড়িয়ে সামনে এল চমকে দেওয়া তথ্য!

এতদিনে সবাই জেনে গেছে করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের ইউহান প্রদেশ। সেখান থেকে ক্রমশ করোনার সংক্রমণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশেও করোনা তার মারণ থাবা প্রসারিত করেছে ইতিমধ্যেই। একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাংলাদেশে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ গুলিকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রমজান মাসে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে বাংলাদেশে।

কিন্তু তার পরেই আশঙ্কা জাগিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিকভাবে অন্যান্য দেশগুলির মতন বাংলাদেশও লকডাউনের পথেই হেঁটেছিল। কিন্তু বর্তমানে রমজানের কারণে এই লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু তারপর থেকেই করোনার প্রকোপ হু হু করে বেড়ে চলেছে বাংলাদেশে। গত 24 ঘন্টায় 7208 জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানা গেছে। এবং তাতে দেখা যাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন 1034 জন।

মৃত্যু হয়েছে 11 জনের। এর ফলে বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলেন 239 জন। সোমবার দুপুরে ঢাকার মহাখালী থেকে যে অনলাইন বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সেখানে জানা যাচ্ছে, রবিবার থেকে মৃতের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গেছে, গতকাল দুপুর পর্যন্ত যেখানে 887 জন আক্রান্ত হয়েছিলেন সেখানে আরও 200 জন বৃদ্ধি পেয়েছে। আপাতত বাংলাদেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 15691জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত 24 ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন 11 জন। তাঁদের মধ্যে 5 জন পুরুষ এবং মহিলা 6 জন। জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে আটজন ঢাকা, দুজন চট্টগ্রাম এবং একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, গত 18 মার্চ প্রথম বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর থেকে দেশের 37 টি করোনা পরীক্ষাগারে ক্রমাগত 1 লক্ষ 29 হাজার 865 জনের শারীরিক পরীক্ষা হয়। তার মধ্যে সোমবার দুপুর পর্যন্ত 15069 জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। যাদের মধ্যে 239 জন মারা গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এবং 2902 জন সুস্থ হয়ে বাড়ির রাস্তা ধরেছেন।

গত 24 ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে বাংলাদেশে 252 জন। আপাতত এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের দাবি, যদি লকডাউন পরিস্থিতি মেনে চলা না হয় বাংলাদেশে, তাহলে কিন্তু করোনা পরিস্থিতি দ্রুতগতিতে খারাপ হবে এবং ইউরোপ-আমেরিকার মতন বর্ধিষ্ণু জায়গাগুলিতে যেভাবে মৃত্যু-মিছিল বেরিয়েছে, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশেও ওই পরিস্থিতি দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই পরিস্থিতি এড়াতে বিশেষজ্ঞ মহল থেকে বারংবার বাংলাদেশ সরকারকে বলা হচ্ছে, লকডাউন পরিস্থিতি আরো কঠোর করার জন্য।

কোনভাবেই যেন এই লকডাউন দুর্বল না হয়। যেহেতু করোনার কোনো প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি, তাই লকডাউনের মধ্যে দিয়েই ঠেকাতে হবে করোনার সংক্রমণকে। এদিকে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে লকডাউন শিথিল হতেই যেভাবে সেখানে করোনা সংক্ৰমণ বাড়ছে তাতে অবশ্যই করে চিন্তা বাড়ছে। কেননা ভারতে তৃতীয়দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামী ১৭ তারিখ, তার আগেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। ফলে ভারতের অবস্থাও কি প্রতিবেশীর মত হবে? সেই নিয়েই ক্রমশ বাড়ছে আশঙ্কা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!