প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তারা দুজনেই সমন অপরাধী হিসেবে গণ্য হয়। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটা প্রয়োজন। বর্তমানে সবথেকে ব্যবহৃত অনলাইন মাধ্যম হচ্ছে সোশাল মিডিয়া। তাই মানুষ সোশাল হোক বা না হোক, সোশাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকা চাই। অন্যদিকে সোশাল মিডিয়ায় তাই বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার শিকারও হতে হয় অনেককে। সেই সঙ্গে কেউ যদি হন সেলিব্রিটি, তাহলে তো কথাই নেই।

সম্প্রতি এমনি একটি অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা অভিনেত্রীদের জীবনে তাদের কাজের খাতিরে বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাঁদের। সব পরিস্থিতি হাসি মুখে মানিয়েও নিতে হয় অনেকসময়। অনেকে আছেন যাঁরা সেটা সুকৌশলে এড়িয়ে যান, আবার অনেকে আছেন যাঁরা সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। অভিনেত্রীর কাছ থেকে জানা গেছে, প্রথমে তিনি চুপ করে থেকেও পরে তিনি মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ একটা সময় পর জিনিসটা আত্মসম্মাবোধের জায়গায় পৌঁছে যায়। আর তাই তিনি আর চুপ করে থাকেননি। তবে কি হয়েছিল ঠিক ঘটনাটা?

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি নম্বর থেকে অনেকদিন থেকেই তাঁর নম্বরে অশ্লীল মেসেজ আসছিল বলেই তাঁর অভিযোগ। শুধু তাই নিয়ে, হোয়াটস অ্যাপ ছাড়াও ফোন করে ভারতকে গালিগালাজ করে অনেক কথা বলা হচ্ছিল। জানা গেছে, বহুদিন ধরে এমনটা চলতে থাকলেও প্রথমে সবার মতই তিনি পাত্তা দেননি বিষয়টাকে। তাই সেসমস্ত ফোন নম্বর থেকে বিরক্ত করা হতো তাঁকে, সেগুলিকে ব্লক করেই রেখেছিলেন। তবে এরপরও এর থেকে রেহাই পাননি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ব্লক করা ছাড়াও বিভিন্ন অন্য নম্বর থেকে মেসেজ আসা শুরু হয়। আর এরপরই রীতিমতো বিরক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ২ দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। যাদের মধ্যে ‘বিক্ষোভ’ নামে একটি ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, কারণ এখনও তার শুটিংয়ের কিছু অংশ বাকি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ‘যদি একদিন’ ছবিতে অনেক আগেই তিনি বাংলাদেশি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। তাই সেই খাতিরে বাংলাদেশে তাঁর অনেক চেনা পরিচিত আছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর তাদের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার কথায়, একদিন ফোনে অশ্লীল মেসেজ দেখে ভাবেন যে অনেক হয়েছে, এবার এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দরকার। অন্যদিকে স্বামী রোশনও সায় দিয়ে তাঁকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কারণ যা হচ্ছিল তা একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। একজনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলেই বাকিরাও চুপ হতে বাধ্য হবে। আর তাই তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।