এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বাংলায় আলকায়দা গ্রেপ্তার হতেই তৃণমূলকে ‘তোষণকারী’ আক্রমণে কোমর বেঁধে ময়দানে নামল বিজেপি!

বাংলায় আলকায়দা গ্রেপ্তার হতেই তৃণমূলকে ‘তোষণকারী’ আক্রমণে কোমর বেঁধে ময়দানে নামল বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে – এই অভিযোগ বিজেপির দীর্ঘদিনের। বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আরও বেশি করে তুলে ধরতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এই রকম একটি পরিস্থিতিতে বিরোধীদের হাতে তৃণমূল বিরোধিতার নয়া অস্ত্র চলে এল।

বস্তুত, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আল-কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে 6 জন ব্যক্তি ধরা পড়েছে। যে ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর এর পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দিকে নানা অভিযোগ তুলে আক্রমণ করার প্রয়াস নিতে দেখা যাচ্ছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুর্শিদাবাদে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই‌। পশ্চিমবঙ্গের সারাদেশ দুনিয়ার জঙ্গিরা ধরা পড়ছে। সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হয়ে গিয়েছে। কালিয়াচক, ধুলাগর, খাগড়াগড়, নৈহাটি কোথাও তদন্ত হয়নি। সরকারি নির্দেশে চেপে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কেরাল ও বাংলার প্রতিনিধিরা লোকসভায় সবথেকে বেশি চেচান কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। আর সবথেকে বেশি দেশ বিরোধী কাজ হয় কেরল এবং বাংলায়। অনুপ্রবেশকারী ভোটের স্বার্থে এখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়নি।” একই অভিযোগ তুলে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

তবে শুধু বিজেপি নয়, সিপিএম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বেশি করে চেপে ধরা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “একের পর এক ঘটনায় প্রমাণ হচ্ছে যে আমাদের যে গোয়েন্দা কাজকর্ম, তা দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। তৃণমূলকে বাঁচানোই এখন রাজ্য পুলিশের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের রাজনীতিতে একটা সাম্প্রদায়িকরন হচ্ছে। তাতে যে বার্তা যাচ্ছে, তা শুভবার্তা নয়। জঙ্গি সংগঠনগুলো এই ধরনের সরকারি সিদ্ধান্তকে ব্যবহার করে দরিদ্র, নিরীহ, অশিক্ষিতদের মধ্যে নিজেদের প্রসার ঘটায়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে হুগলির একটি মেয়ে ধরা পড়েছিল। বিদেশে বসে জঙ্গী কাজকর্ম করছিল। তারপর এই ঘটনা উদ্বেগজনক। সন্ত্রাসবাদি কাজে যুক্তদের বিচার হোক। তবে নির্দোষ কাউকে যেন ফাসানো না হয়। জঙ্গিরা জঙ্গি। তাদের ধর্ম, জাতের উন্মাদনা তৈরি করা ঠিক হবে না। মনে রাখতে হবে, সমঝোতা এক্সপ্রেস ও গেরুয়া সন্ত্রাসও আমরা দেখেছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বিষয়টিকে তুলে ধরে তৃণমূল সরকারকে আরও বেশি করে কোণঠাসা করার মোক্ষম সুযোগ এই ইস্যুর মধ্যে দিয়ে পেয়ে গেল বিরোধীরা। আর তাই এখন এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে আরও বেশি করে বিজেপি থেকে শুরু করে বাম-কংগ্রেস সকলেই তৃণমূল সরকারকে কোণঠাসা করার অস্ত্র বেছে নিল বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

যদিও বা এই ব্যাপারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের আইন শৃংখলার সম্পর্ক নেই। জঙ্গিরা ঢোকে সীমান্ত দিয়ে। তা বিএসএফের হাতে। বিএসএফ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য পেলে রাজ্য অবশ্যই পদক্ষেপ করত।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখন যে যুক্তিই দেওয়া হোক না কেন, যেভাবে বিরোধীরা এই গোটা পরিস্থিতিকে মাপতে শুরু করেছে এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে আইন-শৃংখলার এই দুর্বল দিকটিকে তুলে ধরে তারা যে এখন তৃণমূল সরকারকে আরও কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!