এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বাংলায় করোনা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে নিজেরাই করোনা আক্রান্ত হয়ে গেলেন ২ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি

বাংলায় করোনা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে নিজেরাই করোনা আক্রান্ত হয়ে গেলেন ২ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।দেশের সর্বাধিক করোনা সংক্রামিত রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান বর্তমানে সপ্তম। এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট করণা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষের গন্ডি অতিক্রম করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম জেলায় করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা নিয়ে চিন্তার ভাজ পড়ছে স্বাস্থ দপ্তর ও সেইসঙ্গে প্রশাসনের।

সম্প্রতি বীরভূম জেলায় ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা প্রকল্প বিষয়ে সমীক্ষার উদ্দেশ্যে ২ জন কেন্দ্রীয় আধিকারিক বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুজন আধিকারিক বীরভূমে এসে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। করোনা সংক্রমনের কারণে তাদের বোলপুরের একটি হাসপাতালে আইসোলেশন করা হয়েছে সেইসঙ্গে তাদের দেখভালের জন্য একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়েছে।

বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছেযে, গত সোমবার বীরভূম জেলার লাভপুর ও নানুরে ১০০দিনের কাজ ও আবাস যোজনা প্রকল্পর কাজ নিয়ে সমীক্ষার জন্য তারা জেলাতে এসেছিলেন। জেলায় এলে তাদের করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে। তারপর তাদেরকে করোনা পরীক্ষা করানো হলে, বৃহস্পতিবার তাদের রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন, বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বীরভূম জেলা সদরতে সিউড়ি সদর হাসপাতালের করোনা পরীক্ষাগারে পরীক্ষার জন্য আসা মোট স্যাম্পেল গুলোর মধ্যে ৯৭ টি সাম্পেলের রিপোর্ট গতকাল পজিটিভ এসেছে বলে জানালেন সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপার শোভন দে। গতকাল বীরভূম জেলার বিভিন্ন ব্লকে অসংখ্য ব্যক্তি করোনা সংক্রামিত হয়েছেন।

যার মধ্যে ১২ জন আছেন দুবরাজপুর, ১৩ জন রামপুরহাট। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল সংক্রামিত দের মধ্যে বেশিরভাগই উপসর্গহীন আছেন। আক্রান্তদের সেফ হোম পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূমের ডেপুটি সিএমওএইচ ডাক্তার স্বপনকুমার ওঝা।

অন্যদিকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে বাসে করে কাঁকড়তলায় নিজের বাড়িতে ফেরা এক প্রসূতির করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। তাকে বোলপুর করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

আর যে বাসে চড়ে তিনি সুপার স্পেশালিটি থেকে কাঁকড়তলায় গিয়েছিলেন সেই বাসের মোট ২৮ জন যাত্রী, ড্রাইভার, খালাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইন করেছে পুলিশ। এদের প্রত্যেকের লালারস পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে গতকাল রাজ্যে ছিল কড়া লকডাউন। বীরভূম জেলার সর্বত্র এদিন পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। এদিন বাইক চালিয়ে লকডাউন ভেঙে বেরিয়ে আসা ও হেলমেট না পরা অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে বচসাতে জড়িয়ে পড়েন রামপুরহাটের তৃণমূলের জনৈক প্রভাবশালী। প্রথমে পুলিশ তাকে আটক কিন্তু পরে তাকে ছেড়ে।

এদিন বীরভূমের মুরারইয়ের রাজগ্রামে লোকডাউনের নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করেই বেআইনিভাবে কিছু দোকান খোলা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। সমস্ত ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ করে দেবার আদেশ দেয় ও তাদের সতর্ক করে দেয়। এরপর ব্যবসায়ীরা সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেয়।

গতকাল বীরভূম জেলার সিউড়ি, সাঁইথিয়া, মহম্মদবাজার, সদাইপুর থানা এলাকায় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মোট ৯৭ জনকে লকডাউন ভাঙার অপরাধে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সেইসঙ্গেই এই এলাকা গুলিতে পুলিশ মোট ৫ ছোট গাড়ি ও ২৪ টি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে লকডাউন ভাঙার কারণে। তবে সর্বোপরি পুলিশ জানিয়েছে যে, গতকাল জারি করা এক দিনের লকডাউন সফল হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!