প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন আগেই রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার কথা জানিয়ে দেন দীনেশ ত্রিবেদী। পরবর্তীতে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন তিনি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের পর ধীরে ধীরে তৃতীয় দফার নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বাংলা। যেখানে প্রচারে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ রাজ্যের বিজেপি নেতারা তৃণমূলের দিকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন।

আর এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা দীনেশ ত্রিবেদীর মুখে শোনা গেল সেই দুর্নীতির কথা। যেখানে বাংলায় দুর্নীতির ইনস্টিটিউট বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। আর দীনেশ ত্রিবেদীর মত নেতার গলায় তৃণমূল সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য শুনতে পাওয়ায় রীতিমত গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, আজ বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদী সহ অন্যান্যরা। আর সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখার পর বক্তব্য রাখেন দীনেশ ত্রিবেদী। যেখানে দুর্নীতি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাকে। হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতা বলেন, “এখানকার বাচ্চারাও জানেন যে, কোন পর্যায়ে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে। বাংলায় চাকরি নেই। কিন্তু দুর্নীতির ইনস্টিটিউট বানানো হয়েছে। এখানে তোলাবাজি, কাটমানির জন্য মানুষ ভয় পাচ্ছেন।” স্বাভাবিক ভাবেই দীনেশ ত্রিবেদীর মত হেভিওয়েট নেতার মন্তব্যে এখন রীতিমত গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীনেশ ত্রিবেদীর অত্যন্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ বলেই পরিচিত। কিন্তু সেই তিনি আজ যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্নীতি ইস্যুতে আক্রমণ করলেন তাতে ঘাসফুল শিবির যথেষ্ট ব্যাকফুটে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ। নির্বাচনের মুখে বিজেপি নেতাদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মন্তব্য করা হচ্ছে, তাতে এমনিতেই অস্বস্তিতে শাসকদল।

কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতাদের পক্ষ থেকে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অস্বস্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে, তাতে আরও বিড়ম্বনায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে আজ দীনেশ ত্রিবেদীর দুর্নীতি নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য তৃতীয় দফার নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।