এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলায় যুদ্ধ হলেও কেন্দ্রের লড়াইয়ে মমতার সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে সিপিএম? সূর্যের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে!

বাংলায় যুদ্ধ হলেও কেন্দ্রের লড়াইয়ে মমতার সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে সিপিএম? সূর্যের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দীর্ঘ 34 বছর তৃনমূলের সঙ্গে বামেদের লড়াই হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মূলত, বাম বিরোধীতার মধ্য দিয়েই জন্ম ঘাসফুল শিবিরের। এদিকে 2011 সালে সেই বামেদের সরিয়ে তৃনমূল রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই ধীরে ধীরে রাজ্যে অপ্রাসঙ্গিক হতে শুরু করে কাস্তে হাতুড়ি শিবির। বর্তমানে সেই বামেদের আধিপত্য প্রায় নেই বললেই চলে। একসময় যারা রাজ্য শাসন করত, সেই তারাই এখন রাজ্য বিধানসভায় কার্যত শূন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধানসভায় শাসকদল তৃনমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে বিজেপি।

আর এরপরেই সেই বামেদের পক্ষ থেকে পর্যালোচনা করতে গিয়ে কট্টর তৃনমূলের বিরোধীতা যে ঠিক হয়নি, তার দলীয় বৈঠকে বারবার তুলে ধরা হয়েছে। আর এবার এই ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করে এতদিন যে তৃণমূল বিরোধিতার শোনা গিয়েছিল সূর্যবাবুদের গলায়, সেই তৃণমূলের ব্যাপারেই সুর নরম করতে দেখা গেল তাদের। রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে বনিবনা না হলেও, জাতীয় স্তরে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে যে তাদের বিন্দুমাত্র অসুবিধে নেই, সেই কথা জানিয়ে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নদীয়া জেলা সিপিএমের সম্পাদক আশু ঘোষের স্মরণসভায় উপস্থিত সূর্যকান্ত মিশ্র। আর সেখানেই কেন্দ্রীয় স্তরে লড়াই নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে সুর নরম করতে দেখা যায় সেই সিপিএম নেতাকে। এদিন তিনি বলেন, “দিল্লিতে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার সময় আমাদের বলা হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে চান। আমরা বলেছি, থাকবেন। বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় স্তরে যদি কিছু হয়, তাতে যারাই একসঙ্গে হবে, আমাদের সঙ্গে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা হবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি বিজেপিকে আটকাতে আগামী 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে কার্যত এক হতে চলেছে তৃণমূল এবং বামফ্রন্ট? একাংশ কটাক্ষ করে বলছেন যে, বাম বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম এবং যে বিজেপির হাত দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান, এখন সেই বিজেপি তৃণমূলের ক্ষেত্রে বড় শত্রু হয়ে গেল। এ আসলে সন্তানকে বড় করার খেসারত দিতে হল পিতা-মাতাকে। বিজেপির জন্যই জন্ম হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু এখন সেই বিজেপি গোটা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের উপর চাপ বৃদ্ধি করার কারণে দীর্ঘ 34 বছর ধরে যে বামেদের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি লড়াই দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই বামেরা তৃণমূলের প্রতি সুর নরম করতে শুরু করেছে।

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। সিপিএম খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে, তাদের আর তেমন কোনো শক্তি নেই। সেদিক থেকে তারা যেমন তৃণমূলের বিরোধী, ঠিক তেমনই বিজেপিরও বিরোধী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে শূন্য হয়ে যাওয়ার পর তৃণমূল থেকে সিপিএম, এখন প্রতিটি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু সেই চাপ সৃষ্টি করতে গেলে তো শক্তি প্রয়োজন। সেই শক্তি কোথা থেকে পাবে সিপিএম! তাই তৃণমূলের পাশে থাকার কথা বলে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সুর নরম করে জাতীয় ক্ষেত্রে জোট বাঁধার বার্তা দিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র? এখন এই জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী বঙ্গ রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!