এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাংলায় প্রায় লকডাউন ঘোষণা হতেই চরম সঙ্কটে রেল দপ্তর, পড়তে চলেছে চরম অসুবিধায়?

বাংলায় প্রায় লকডাউন ঘোষণা হতেই চরম সঙ্কটে রেল দপ্তর, পড়তে চলেছে চরম অসুবিধায়?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতবর্ষে আছড়ে পড়ার সাথে সাথেই রেল পরিষেবা সংকটের মুখে পড়ে গিয়েছিল। মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা নিলেও ভাইরাস যখন বাড়তে শুরু করেছে, তখন তা অনেকেই বাতিল করে দিতে শুরু করেছিলেন। এমনকি অনেক রেল শেষ পর্যন্ত যাত্রী না পেয়ে বাতিল করে দেওয়ার ঘোষণা করে দিয়েছিল রেল দপ্তর।

তবে শনিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে লকডাউনের কথা ঘোষণা করার পরেই আরও সংকটের মুখে পড়ে গেল রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই লকডাউনের খবর পেয়ে বহু যাত্রী তাদের টিকিট বাতিল করতে শুরু করেছেন। যার ফলে এবার সঠিক মাত্রায় যাত্রী না পেয়ে অনেক রেল বাতিল করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিভাবে ট্রেন চালানো হবে, এখন সেটাই বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এমনিতেই ছাড়া ভারতবর্ষ জুড়ে করোনা ভাইরাস বাড়তে শুরু করায় বহু ট্রেন বাতিলের রাস্তায় হাঁটা হয়েছিল। তবে বাংলায় ট্রেন পরিষেবা সঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভয়াবহ করোনা ভাইরাস বাড়তে শুরু করায় আংশিক লকডাউনের পর শনিবার আগামী মে মাসের 30 তারিখ পর্যন্ত বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর শনিবার দুপুরে এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত শোনার সাথে সাথেই টিকিট কাটা যাত্রীরা তাদের টিকিট বাতিল করতে শুরু করে দেন। স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রী কম। তার মধ্যে টিকিট বাতিল করার হুড়োহুড়ি পড়ে যাওয়ায় এখন রীতিমত অস্বস্তির মুখে পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত যাত্রী না পেয়ে ট্রেন বাতিল না করা ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো রাস্তা থাকবে না বলেই মনে করছেন একাংশ। আর যদি এমনটা হয়, তাহলে ফের এক বছর আগেকার মত পরিস্থিতি তৈরি হবে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রেও বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, “আগে বহু ট্রেনে কুড়ি শতাংশ যাত্রী হচ্ছিল না। যাত্রী কমার ফলে অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যে ফের লকডাউনের মত পরিস্থিতি হওয়ায় চলাচলকারি ট্রেনগুলো টিকিট বাতিল হতে শুরু করেছে। এই ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা কমে 10 শতাংশের নিচে গেলে সেই ট্রেন স্বাভাবিকভাবে বাতিল করা হবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে শিয়ালদহের ডি আরএম এসপি সিং বলেন, “রেল কর্মীদের জন্য যে স্পেশাল ট্রেন চলছে, তার অনেকগুলো এই পরিস্থিতিতে বাতিল করা হবে। দূরপাল্লার মেল এসপ্রেস আপাতত বাতিল না হলেও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

অর্থাৎ রেল কর্তৃপক্ষের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার যে, যাত্রী না পেলে এবার রেল বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটতে হবে দপ্তরকে। কেননা এতদিন সংকটজনক পরিস্থিতি থাকলেও, লকডাউন না হওয়ার কারণে অনেক দূরপাল্লার যাত্রীরা টিকিট কেটে ট্রেনে যাতায়াত করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করেছে। বাংলায় লকডাউনের আবহ তৈরি হয়েছে।

বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যাত্রীসংখ্যা যদি ঠিকমত না থাকে, তাহলে যে বেশকিছু ট্রেন আগামী দিনে বাতিল করা হতে পারে, তা কার্যত বুঝিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে লকডাউন হওয়ার সাথে সাথেই বাংলায় চলা রেলগুলো নিয়ে যে বড় সমস্যায় পড়েছে রেল দপ্তর, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!