এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > বাংলায় শূন্য হওয়ার পরেই কি বেনজির পদক্ষেপ? সিপিএমের সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা!

বাংলায় শূন্য হওয়ার পরেই কি বেনজির পদক্ষেপ? সিপিএমের সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একজন প্রতিনিধিও পাঠাতে সক্ষম হয়নি বামেরা। দীর্ঘ 34 বছর পশ্চিমবঙ্গে তারা শাসনক্ষমতা দখল করে রাখলেও, একসময় শাসন ক্ষমতায় থাকা সেই বামেদের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধিও 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি। যার ফলে রাজ্য বিধানসভায় তাদের আসন কার্যত শূন্য। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে যাতে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তার জন্য নানা আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কার্যত শূন্য হয়ে যাওয়ার পর এবার একটি অন্যরকম সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল বামেদের। যেখানে এতদিন তাদের দলের রাজ্য দপ্তরে স্বাধীনতা দিবসের দিন কোনো পতাকা উত্তোলন না হলেও এবার প্রথম সেই কর্মসূচি করতে চলেছে সিপিএম। যার জেরে একাংশ মনে করছেন, বাংলা তথা ভারতবর্ষের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা লাভ করতেই সিপিএমের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলায় তারা শূন্য হয়ে গেলেও আগামী দিনে ভারতবর্ষে বিরোধী মহাজোট তৈরি হতে পারে। সেদিক থেকে দেশের অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নিজেদের দেশপ্রেমের বার্তা দিতেই সিপিএমের পক্ষ থেকে এই রকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রবিবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই বাংলার পক্ষ থেকে সুজন চক্রবর্তী আগামী স্বাধীনতা দিবসের দিন যাতে রাজ্য নেতৃত্ব তা পালন করতে পারেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে খবর। যার জেরে এই প্রথম সিপিএম তাদের রাজ্য দপ্তরের পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে আগামী 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবস গোটা রাজ্য জুড়ে পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেদিক থেকে সিপিএম এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আগামী দিনে বাংলায় আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বলেই দাবি করছেন একাংশ।

অনেকেই বলছেন, হঠাৎ করে সিপিএমের এই উদ্যোগ কেন? এর আগে তারা রাজ্যের ক্ষমতায় দীর্ঘদিন থাকলেও সেভাবে তাদের পক্ষ থেকে দলীয় ভাবে এই স্বাধীনতা দিবস পালন করতে কোনো রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে এবার কেন এই উদ্যোগ পালন করছে কাস্তে-হাতুড়ি শিবির? তাহলে কি সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিতে এবং সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেদের তুলে ধরতেই পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের এই কর্মসূচি?

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আগেও সিপিএম স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে। কিন্তু যেহেতু এবার দেশের স্বাধীনতা দিবস 75 তম বর্ষে পদার্পন করছে, তাই দলগতভাবে সব পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সাথে সাথে সারা বছর স্বাধীনতার বিষয়ে আলোচনা সভারও আয়োজন করা হবে।” তবে সিপিএমের এই পরিকল্পনার পেছনে যে কিছুটা হলেও ভবিষ্যৎ উদ্দেশ্য রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে আগামী 15 আগস্ট সিপিএমের পক্ষ থেকে রাজ্যজুড়ে কিভাবে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!