প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ বিজেপিতে যোগদান করলেন বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। বিজেপিতে যোগদান করেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর জনসভা থেকে তৃণমূলকে একহাত নিলেন শিশির অধিকারী। জানালেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে। এরপর তিনি জানালেন, সকলের আশীর্বাদ নিয়ে সমৃদ্ধ করতে হবে বিজেপি দলকে। সকলের শুভ বুদ্ধি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে, বাংলাকে রক্ষা করার আবেদন জানালেন তিনি।

বিজেপিতে যোগদানের পর সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে জনগণের উদেশ্যে শিশির অধিকারী জানালেন, ” আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে বিজেপি পার্টিকে সমৃদ্ধ করতে হবে। আপনাদের শুভবুদ্ধি দিয়ে এই জেলাকে, বাংলাকে রক্ষা করুন। অত্যাচার, অবিচারের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাবেন, এই প্রার্থনা করে জানাই, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা এগিয়ে চলুন। ” আবার, ইতিপূর্বে তিনি জানিয়েছেন, ” এটা ইজ্জতের লড়াই। নন্দীগ্রামে জিতবেন শুভেন্দুই। পূর্ব মেদিনীপুরে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল।”

অন্যদিকে, আজ অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তো সিআইডি, পুলিশ রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূল ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন পুলিশ, সিআইডি লাগিয়ে সমস্ত খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুই পাননি তিনি। এখন তিনি মিথ্যা প্রচারে নেমেছেন। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন ফ্যাক্টরির মালকিন, এবার সেই ফ্যাক্টরির ব্যালেন্স শীট তিনি প্রকাশ করুন।

আবার, আজ গণমাধ্যমের সামনে তিনি জানালেন যে, বিজেপি তাঁকে ডেকেছে বলেই তিনি এসেছেন। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে তিনি কথা বলবেন। বিজেপি আছে কেন্দ্রীয় সরকারে। কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে কি করতে পারে? তা তিনি জানেন। এরপরে তিনি জানান যে, সব পরিষ্কার হবে। বিজেপি সব জায়গায় জিতবে।

আবার, সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, অভিমানের কারনে কি তিনি দলত্যাগ করেছেন? এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, কেন তাঁর অভিমান হবে? এটা লড়াইয়ের ময়দান, এখানে অভিমানের কিছু ব্যাপার নেই। লড়াইয়ের ময়দানে লড়তে হবে তাঁকে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল ছাড়ার পূর্বে তিনি কি তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? এর উত্তরে তিনি জানালেন, সবসময় মুখ্যমন্ত্রী বলছেন গদ্দার, মীরজাফর, চোর। যা আছে, যত রকম ভাষা আছে বলছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কি কেউ কথা বলে?