প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার অস্ত্র ব্যবহার করেই ত্রিপুরায় বিজেপিকে ঘায়েল করার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর প্রায় ধরাশায়ী হয়ে পড়া তৃণমূল কংগ্রেসকে আবার শক্তিশালী অবস্থায় এনে দিয়েছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। এবার তাঁকেই তৃণমূল ব্যবহার করতে চলেছে ত্রিপুরায়। সেখানেও কাজে নামতে চলেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। ত্রিপুরার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করতে শুরু করেছেন তিনি। এদিকে তৃণমূলের ত্রিপুরা দখলে বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করেছেন মুকুল রায়।

দু’বছর পর ত্রিপুরার বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে। আর তার একবছর পরেই রয়েছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরা যদি নিজের দখলে আনতে পারে তৃণমূল, তবে, বিজেপি বিরোধী মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব যে অনেকটা বেড়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই এবার ত্রিপুরা দখলের পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের একাজে সহায়ক হতে চলেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করার চুক্তি করেছে আইপ্যাক। এবার ত্রিপুরাতে মাঠে নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা।

তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ তাঁদের সঙ্গে আলোচনার কাজও শুরু হয়ে গেছে আইপ্যাকের। আবার, আগামী মাসেই কলকাতায় আসার সম্ভাবনা ত্রিপুরা রাজ্য তৃণমূল সভাপতি আশিস লাল সিং এর। তিনি ছাড়াও আরও বেশ কিছু নেতা-নেত্রীর ত্রিপুরা থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এমনকি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও তাঁদের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

ত্রিপুরা দখলে তেড়েফুঁড়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। একটা সময় ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তিশালী সংগঠন ছিল। পরে সেই সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক জয় পাবার পর ত্রিপুরায় আবার উদ্বুদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। বিশেষত একুশে জুলাই পালন নিয়ে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছিল তৃণমূল। তবে, সরকারি বিধি নিষেধ থাকার কারণে সে কর্মসূচি পালনে সক্ষম হয়নি। কিন্তু তাঁদের উৎসাহকে প্রশংসিত করেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের বাড়তি উৎসাহকে কাজে লাগিয়েই ত্রিপুরা দখলের লক্ষ নিয়েছে তৃণমূল।