বাংলার বুকে কি এবার করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেল? শুরু হয়ে গেল সমীক্ষা, জানুন বিস্তারিত রাজ্য হাওড়া-হুগলি August 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের প্রতিটি রাজ্য যখন করোনায় আক্রান্ত হতে শুরু করেছে, যখন প্রতিটি রাজ্যের বিপর্যস্ত অবস্থা, তখন বাংলায় সেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়নি। কিছু পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে আসার পর থেকেই হু হু করে বাড়তে থাকে পশ্চিমবঙ্গের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন আগের দিনের আক্রান্তের সংখ্যার রেকর্ডকে ভেঙে দিচ্ছে পরের দিনের আক্রান্ত সংখ্যা। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, যেভাবে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কি তা গোষ্ঠী সংক্রমনের আকার নিয়ে নিয়েছে ? জানা গেছে, হুগলি জেলায় গত দু’মাসে দুই হাজারের বেশি মানুষ এই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। যার ফলে এখন একটাই প্রশ্ন প্রশাসনের অন্দরমহলে ঘোরাফেরা করছে, তাহলে কি এখানে করোনা ভাইরাস গোষ্ঠী সংক্রমনের আকার নিয়েছে? সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই শনিবার থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করল জেলা প্রশাসন। শনিবার গোঘাট 2, পুড়শুড়া, চন্ডীতলা 1 এবং 2 নম্বর ব্লকের গ্রীন জোন স্টেশনগুলোতে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের পক্ষ থেকে গাড়ি নিয়ে গিয়ে পথচলতি মানুষের লালারস এবং নাকের গ্রন্থিরসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ এই ভাবেই আক্রান্তের সংখ্যা নির্ধারণ করে গোষ্ঠী সংক্রমনের বিষয়টি কতদূর এগিয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছে জেলা প্রশাসন। এদিঞ এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক প্রলয় মজুমদার বলেন, “হুগলিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে কিনা, খতিয়ে দেখতেই এই ব্যবস্থা। এদিন চারটি ব্লকের গ্রীন জোন থেকে 200 জনের লালা রস এবং গ্রন্থিরসের নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। সেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “আমরা দেখতে চাইছি যে সব জায়গা নিরাপদ বলছি আমরা, সেগুলো নিরাপদ আছে কিনা! ওই সব জায়গায় কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকলে তার থেকে যাতে আর কেউ সংক্রমিত না হয়, তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি একবার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়, তাহলে তাকে আটকানো অত্যন্ত সমস্যার হয়ে পড়বে। তাই হুগলি জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোষ্ঠী সংক্রমনের ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কতটা সঙ্কটমুক্ত করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -