এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বাংলার ‘ছোট পাপ্পুকে’ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ কৈলাশের! বিধানসভার আগে জমজমাট রাজ্য-রাজনীতি!

বাংলার ‘ছোট পাপ্পুকে’ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ কৈলাশের! বিধানসভার আগে জমজমাট রাজ্য-রাজনীতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের জমজমাটি রাজনৈতিক লড়াই হতে চলেছে। নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে বাড়ছে ব্যঙ্গ, তরজা, কটাক্ষের বহর। আর সেই সঙ্গেই চলছে পরস্পরের প্রতি অভিযোগ বর্ষণ, অভিযোগ খণ্ডন, ও পুনঃ অভিযোগের জমজমাটি পালা।

গতকাল শুক্রবার নদীয়া জেলা চাকদাতে রাজ্য বিজেপির এক বিশেষ সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি ছাড়াও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খান, বিজেপি নেতা মুকুল রায় প্রমুখ সহ দলের বেশকিছু কর্মী-সদস্যরা । এই সভাতে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে রাজ্যের শাসকদলের প্রতি একাধিক তির্যক মন্তব্য, ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করতে দেখা গেল।

সরাসরি করোও নাম না করেও গতকালের এই সভায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন যে, দিল্লিতে যেমন একজন বড় পাপ্পু আছেন তেমনই এক জন ছোট পাপ্পু রয়েছেন এই বাংলায়। এর পরেই তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৪০০ টাকা দামের শাড়ি ও ২০০ টাকা দামের চটি পরলেও, এ রাজ্যের ছোট পাপ্পু ৪ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চশমা ও ১০ – ১৫ টাকা মূল্যের জুতো পরে থাকেন।

এমন বক্তব্যের পরই শাসকদলের জনৈক শীর্ষস্থানীয়কে আবার ছোট পাপ্পু’ বলে সম্মোধন করে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বললেন, ” উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।” এভাবে নাম না করেও রাজ্যের শাসক দলের জনৈক শীর্ষস্থানীয়কে নিয়ে ব্যঙ্গ করলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সহজ, সরল, অনাড়ম্বর জীবনযাপন করেন সে ব্যাপারটি কার্যত মেনেই নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর বক্তব্যেই তা স্পষ্ট। আর, এর সঙ্গে সঙ্গেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন রাজ্য যে, ৬ মাস পরেই পশ্চিমবঙ্গে আসতে চলেছে বিজেপি সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ এসেছে। এই গরু পাচারের ঘটনার তদন্ত করতে নেমেছে কেন্দ্রীয় সংস্থ্য সিবিআই। গরু পাচার বিষয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বক্তব্য, ” এক পাপ্পু বলেন, আলুতে সোনা আছে। আর এক পাপ্পু বলেন, গরুতে সোনা।” আবার বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ভাবে সরব রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের মধ্যেও এর কোন ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেল না। পুলিশকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর হুঙ্কার, ” যে সব পুলিশকর্মী মুখ্যমন্ত্রীর চটি বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা জেলে ঢুকে যাবেন।”

গতকালের বিজেপির দলীয় সভায় নাম না করেই শাসক দলের জনৈক হেভিওয়েট, রাজ্য পুলিশ, রাজ্য সরকার প্রমুখের প্রতি কৈলাস বিজয়বর্গীয় একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করলেও শাসক দল তৃণমূল তাঁর এসব মন্তব্যকে তেমন কোন গুরুত্ব দেয়নি। এ প্রসঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের জনৈক শীর্ষ নেতা জানালেন, “যাদের পায়ের তলায় জমি নেই, তাদের এই রকম প্রলাপ আউড়ানো ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে! চালু প্রবাদ আছে, ‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়’। এ সব কথা শুনলে বারবার সেটাই মনে পড়ে।”

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আবহে পরস্পর বিরোধী দু’দলের এমন পারস্পরিক তরজায় জমে উঠলো রাজ্য রাজনীতির জমজমাটি আসর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!