এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “বাংলার গর্ব মমতা” থেকে পুরনো কর্মীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের, জানুন বিস্তারিত!

“বাংলার গর্ব মমতা” থেকে পুরনো কর্মীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের, জানুন বিস্তারিত!

রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের গোষ্ঠী কোন্দল। দুর্দিনে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করে তৃণমূলকে যারা ক্ষমতায় এনেছিল, ক্ষমতায় আসার পর তারা আর সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের অন্দরে উঠেছিল অভিযোগ। এমনকি বিরোধী দল থেকে প্রচুর নেতাকর্মীর তৃণমূলে যোগদানের ফলে সেই সমস্ত নেতাকর্মীরাই দলে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় পুরনোদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল প্রবল ক্ষোভ। বারবার পুরোনোদের সেই ক্ষোভ মেটাতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা দিতে দেখা গেলেও, নীচুতলায় তৃণমূলের পুরনো কর্মীরা সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। যার ফলে পুরনো বনাম নতুনের দ্বন্দ্ব তৃণমূলে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

এমনকি অনেক নির্বাচনে এই দ্বন্দ্বের কারণে অনেক বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষে জয় লাভ করা সম্ভব হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের মত রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেও “বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচি থেকে পুরনো নেতাকর্মীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানালেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। সূত্রের খবর, শনিবার প্রশান্ত কিশোরের টিমের নজরদারিতে রাজগঞ্জের বেলকোবায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জ বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় সহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নিয়ম অনুযায়ী, সংবিধান পাঠ করে এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুরনো কর্মীদের সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেন তৃণমূলের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তিনি বলেন, “দলনেত্রী যে বার্তা দিয়েছিলেন তা কর্মীদের জানানো হয়। অক্ষরে অক্ষরে কর্মীরা যাতে সেই নির্দেশ পালন করেন, সেই বিষয়ে তাদের বলা হয়েছে। দলের বসে যাওয়া পুরনো কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে ব্লক, অঞ্চল নেতৃত্বকে ওইসব কর্মীর বাড়ি যেতে বলেছি। দলের জন্মলগ্ন থেকে যাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছি, তাদের বসে যাওয়া কিছুতেই মেনে নেব না। অঞ্চল নেতৃত্বের অনুরোধেও যদি তারা না আসে, তবে আমি ওই কর্মীদের বাড়ি যাব। তাদের দলে ফিরিয়ে আনব।”

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণীর সঙ্গে রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বিবাদ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি জেলা কমিটি নিয়ে খগেশ্বরবাবু জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তার অভিযোগ ছিল, দলের পুরোনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের কর্মসূচি থেকে সেই পুরনোদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে পরোক্ষে জেলা সভাপতিকেই খোঁচা দিলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বলে মত একাংশের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!