এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচিতেই নিজের গড়েই অনুপস্থিত শুভেন্দু, বিদ্রোহের আশঙ্কা!

“বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচিতেই নিজের গড়েই অনুপস্থিত শুভেন্দু, বিদ্রোহের আশঙ্কা!


গত 2 মার্চ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের “বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। যেখানে তৃণমূলের প্রায় সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে দলীয় প্রধানরা উপস্থিত থাকলেও, দলের অন্যতম প্রধান সৈনিক বলে পরিচিত অধিকারী পরিবারের শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। অনেকেই দাবি করেছিলেন, শুভেন্দুবাবুর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তিনি এই সমস্ত কর্মসূচিতে আদৌ বিশ্বাসী নন।

কারণ তার একটি ব্যক্তিগত ক্যারিশমা রয়েছে। আর সেই কারিশমাতেই তিনি সমস্ত জায়গায় ঘাসফুল ফোটাতে সক্ষম। একাংশের দাবি ছিল, দলে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে আসার পেছনে প্রধান ভূমিকা রয়েছে, তৃণমূল যুব সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেদিক থেকে অভিষেকবাবুর সঙ্গে শুভেন্দুবাবুর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। আর তাই এই ধরনের কর্মসূচি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শেই তৈরি হচ্ছে জেনে তাতে উপস্থিত না থেকে নিজের মত করে চলার বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

তবে পরবর্তীতে অবশ্য কেন তিনি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হননি, তা জানিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা। যেখানে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, পরের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার জেলা সফরের কর্মসূচি ছিল। তাই আগের দিন তিনি সেখানে চলে গিয়েছিলেন। তাই এই কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। তবে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী নিজের অন্য কর্মসূচির জন্য উপস্থিত হতে না পারলেও, প্রত্যেকটি বিধানসভায় যখন সেখানকার বিধায়করা এই কর্মসূচি পালন করছেন, তখন শুভেন্দু অধিকারী তার বিধানসভা কেন্দ্রে কেন সেই কর্মসূচি পালনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন না, এখন তা নিয়েই নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, শনিবার ছিল 14 ই মার্চ, নন্দীগ্রামের শহীদ দিবস। প্রতিবারের মত এবারও সেই শহীদদের সম্মান জানাতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে এই শহীদ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকলেও, তার বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে “বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতি এখন নজর কাড়ছে অনেকেরই। কেন এভাবে একের পর এক দলের তরফে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকছেন না অধিকারী পরিবারের সদস্যরা! জানা গেছে, এদিন নন্দীগ্রামে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান তথা ব্লক সভাপতি মেঘনাথ পাল।

কিন্তু তিনি কেন উপস্থিত থাকলেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি তো নন্দীগ্রামের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমার বিধানসভার প্রতিনিধি হিসেবে মেঘনাথ পাল ওই কর্মসূচি করেছেন। এতে তো অসুবিধার কিছু নেই।” অনেকে বলছেন, হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে এতে অসুবিধার কিছু নেই। কিন্তু যেখানে দলের তরফে বারবার এই কর্মসূচিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেখানে শুভেন্দু অধিকারী এবং অধিকারী পরিবার প্রথম থেকেই এই কর্মসূচিতে না থেকে কি অন্য কিছু বার্তা দিতে চাইছেন?

নন্দীগ্রামের শহীদ দিবসের শহীদদের প্রতি অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। কিন্তু তার পাশাপাশি দলের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকাও দলের একনিষ্ঠ নেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেদিক থেকে তিনি বারবার বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থেকে দলকে কি বার্তা দিতে চাইছেন যে, তিনি নেত্রী বাদে আর কারও নির্দেশে চলবেন না? আর তাই প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনায় তৈরি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকছেন না রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী! এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের আনাচে কানাচে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!