এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার জবাব দিল্লীতে, এবার প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত তৃণমূল সাংসদরা

বাংলার জবাব দিল্লীতে, এবার প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত তৃণমূল সাংসদরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টএবার লড়াই দিল্লীর ময়দানে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে বড়োসড়ো সংঘাতের প্রস্তুতিতে তৃণমূল সাংসদরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বড়োসড়ো হারের সম্মুখীন হয়েছে গেরুয়া শিবির বাংলায়। কার্যত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এবং তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে ময়দানে নেমে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বও। কার্যত ডেলি প্যাসেঞ্জারি চালিয়েছেন এরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতির ছোট, বড় প্রায় সবাই বাংলায় ছুটে এসেছিলেন। বারবার প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে 200 আসনের লক্ষ্যমাত্রা শোনা গিয়েছে।

একইসাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন মঞ্চ থেকে ব্যঙ্গাত্মক সুরে আক্রমণ করে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাংলার প্রায় সর্বত্রে প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গেছে ‘দিদি ও দিদি’ ব্যাঙ্গাত্মক ডাক। বাংলায় যদিও কোনোভাবেই প্রাধান্য পায়নি এই ডাক। কিন্তু তাও এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সেই ব্যাঙ্গাত্মক সুর ভুলতে পারেননি। একুশের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেছে ঠিকই, কিন্তু সেই ব্যঙ্গাত্মক কটাক্ষ এবার ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। আর তাই তৃণমূল সাংসদরা জবাব দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন সংসদ ভবন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গিয়েছে, এবার থেকে তৃণমূল সাংসদরা সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীকে ঢুকতে দেখলেই পাল্টা ‘মোদি ও মোদি’ স্লোগান তুলবেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এক্ষেত্রে কি স্বাধীকার ভঙ্গ করছেন তৃণমূল সাংসদরা? প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এক তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, রাজনীতির ময়দানে নেমে যেভাবে নরেন্দ্র মোদী সীমালংঘন করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারংবার ব্যঙ্গাত্মক সুরে কটাক্ষ করে গিয়েছেন, তার পাল্টা পেতেই হবে।

পাশাপাশি স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ বিজেপি তুলতে পারবেনা বলেই দাবি তৃণমূল সাংসদের। কারণ এক্ষেত্রে কোথাও নরেন্দ্র মোদির নাম করা হচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ‘মোদি ও মোদি’ বললে ললিত মোদীও বোঝাতে পারে, কিংবা নীরব মোদীও বোঝানো যেতে পারে। সব মিলিয়ে একুশের লড়াই বাংলায় মিটে গেলেও কিছু সংঘাতের রেশ হয়তো এখনো রয়ে গেছে। আর সেটাই এবার দিল্লির বুকে মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিষেষজ্ঞরা। এখন দেখার, প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গাত্মক সুরে আক্রমণ করার ফলে তৃণমূল সাংসদদের পাল্টা কোন মাস্টারস্ট্রোক দেয় গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!