এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলার ‘জামতারা গ্যাংয়ের’ নেতৃত্বে খোদ মমতা! বিজেপি নেতার বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য

বাংলার ‘জামতারা গ্যাংয়ের’ নেতৃত্বে খোদ মমতা! বিজেপি নেতার বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিতে দীর্ঘদিন আগেই প্রবেশ করেছে কুকথার ঝড়। এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সময় যত যাবে ততই এই ঝড় বাড়বে বৈ কমবে না। বর্তমানে হিংসা, কুকথা, উস্কানিমূলক মন্তব্য, অবমাননাকর মন্তব্য বাংলার রাজনীতির অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে অপরকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রায়শই প্রয়োগ হচ্ছে নানান রকম আকথা-কুকথা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুকথা প্রয়োগ করলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা বীরভূমের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি তিনি তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, বাংলার জামতাড়া গ্যাং এর নেতৃত্বে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বেশকিছু তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার নাম করে মাফিয়া বলে বর্ণনা করেন। তার মধ্যে রয়েছেন আসানসোলের জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল, পূর্ব বর্ধমানের স্বপন দেবনাথ এবং ববি হাকিম। প্রসঙ্গত, সাইবার অপরাধ চক্রের অন্যতম কুখ্যাত গ্যাং হল ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং।

অন্যদিকে এদিন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর পুরোহিত ভাতা দেওয়ার বিষয়টি টেনে এনে তীব্র কটাক্ষ করেন। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই পরিচিত হয়েছেন তাঁর কুকথার জন্য। চলতি মাসেই জামুরিয়া এবং আসানসোলে দুটি দলীয় সভা থেকে তিনি সোজাসুজি পুলিশকে অত্যন্ত কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন। যার ফলে পুলিশ তাঁর নামে দুটি মামলা করে। তবে দু’টি মামলাতেই রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে জামিন পেলেও তিনি তার স্বভাব থেকে যে বিন্দুমাত্র সরে আসেননি, তার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল আসানসোলে। এদিন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপি কর্মীদের ওপর প্রতিটি জেলায় অত্যাচার চলছে। তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে, জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এবং সেক্ষেত্রে তিনি আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের জেলে পাঠানো হবে। অন্যদিকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন পাল্টা আক্রমণ করে আরেক দফা কুকথা বলেন রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা আসানসোল শহরের আহবায়ক ভি শিবদাসন ওরফে দাশু।

রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি তার কুকথার জন্য মেরে পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যত সময় যাচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে ততই কুকথার ভিড় বাড়ছে। কিন্তু তার মধ্যে লড়াই যে ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে, সে কথা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এতদিনে পরিষ্কার বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই জিততে মরিয়া রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। আর সেক্ষেত্রে একে অপরকে কোণঠাসা করতে বা চাপে ফেলতে বিভিন্ন কুকথার অবতারণা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!