এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > বাংলার জন্য দরকার কোটি কোটি করোনা টিকা! সামাল দিতে এবার গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার পথে নবান্ন

বাংলার জন্য দরকার কোটি কোটি করোনা টিকা! সামাল দিতে এবার গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার পথে নবান্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে তীব্র মাত্রায়। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক বার চিঠি দিয়ে রাজ্যে অধিক পরিমাণে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করেছেন, যে সমস্ত দেশে কেন্দ্র ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে, সেই সমস্ত দেশ থেকে ভ্যাকসিন এনে দেশের অভাব মেটানো হোক। রাজ্যে ভ্যাকসিনের উৎপাদন করতে গেলে জমিদান ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে রাজ্য সরকার। এরপর কেন্দ্র একাধিকবার ভ্যাকসিন পাঠালেও, তাতে খুব একটা সমস্যা মেটেনি। তাই এবার ভ্যাকসিনের অভাব মেটাতে এক বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

নবান্নের পক্ষ থেকে জানা গেছে যে, রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিনের অভাব দূর করতে এবার গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সারা বিশ্বের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা গুলির কাছে রাজ্য জানতে চাইবে যে, তারা রাজ্যকে কত পরিমান ভ্যাকসিন দিতে পারবে? এরপর বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। দ্রুত এই পদক্ষেপ নিতে চলেছেন নবান্ন।

গ্লোবাল টেন্ডার ডেকে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী বিদেশী সংস্থা গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করবে রাজ্য সরকার। এর সঙ্গেই যোগাযোগ রাখবে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা গুলির সঙ্গেও। কোন সংস্থা, কতটা ভ্যাকসিন দিতে পারবে? সে সব কিছু জেনে তবে অর্ডার দেয়া হবে। এভাবেই রাজ্যে ভ্যাকসিনের অভাব মেটাতে এবার তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। আজ থেকে করোনা রুখতে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে করোনা রুখতে গেলে শুধু লকডাউনই যথেষ্ট নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন দ্রুত টিকাকরণ। কিন্তু রাজ্যে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন রয়েছে, তা দিয়ে সমস্ত মানুষের টিকাকরণ সম্ভব নয়। রাজ্যের ৭ কোটি ১৭ লক্ষের মত মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত মাত্র ১ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এদিকে ৪৫ বছরের অধিক বয়স্কদের মধ্যে মাত্র ৩০% মানুষকে এখনো ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকি রয়েছে ১৮ র উর্ধের মানুষ। সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা চিন্তা করেই এবার এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন যে, ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে বিভ্রান্তি এখন আর নেই। তাই রাজ্য সরকার নিজের প্রয়োজনমতো ভ্যাকসিন কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্ত পদ্ধতি মেনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এজন্য আলাদা ভাবে টাকা রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার ভ্যাকসিনের দাম বিভিন্ন রকম। তাই কোন সংস্থা, কতটা ভ্যাকসিন দিতে পারবে? তার ওপর নির্ভর করবে এর খরচ। বিশেষজ্ঞরা রাজ্যের এই পদক্ষেপকে সদর্থক বলেই জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত রাজ্যবাসীকে টিকা দেওয়া সম্ভব না হলে, করোনা সংক্রমনের সঙ্গে মোকাবিলা করা সহজ হবে না। তাই দ্রুত ভ্যাক্সিনেশন সম্পন্ন করতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!