বাংলায় লগ্নি নিয়ে মমতার অস্বস্তি বাড়াতেই এবার রাজ্যপালকে বই পড়ার পরামর্শ প্রবীণ তৃণমূল MP-র কংগ্রেস রাজনীতি রাজ্য August 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ইনিংস শুরু করার পর থেকেই পশ্চিম বাংলায় শিল্প আনয়নের জন্য বহু চেষ্টা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যে শিল্প না এলে রাজ্যের অর্থনীতির ভিত মজবুত হবে না, সেই সঙ্গে রাজ্যের ক্রমবর্ধিত বেকার সমস্যা দূর করাও সম্ভবপর হবে না। এসব বিলক্ষণ জানেন তিনি। আর তাই রাজ্যে নতুন শিল্প আনতে তিনি বিদেশযাত্রা করেন, সেইসঙ্গে প্রতিবছর আহবান করেন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তবে এসব কিছু করেও পশ্চিমবাংলায় নতুন শিল্পের লগ্নি আনতে তিনি কতটা স্বার্থক, সে বিষয়ে বারবার নানা ভাবে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি। আর এবার এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি কটাক্ষ রাজ্যপালের , আর এ বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সংগাতে জড়ালেন জনৈক তৃণমূল সাংসদ। প্রসঙ্গত, গত ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে চলতি বছর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের ঘটা করে ডাকা বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সমস্ত রকম আর্থিক খরচের সম্পূর্ণ হিসাব, এই সম্মেলন থেকে কত গুলি শিল্পের বা বাণিজ্যের লগ্নি রাজ্যে এসেছে, সম্মেলন থেকে কতজনের কর্মসংস্থান হয়েছে তার সব কিছুর পূর্ণাঙ্গ হিসাব জানতে চেয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠান রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে। এর ফলে বেশ বেকায়দায় পড়ে যায় রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বহুজনে বাড়িয়ে দিয়ে রাজ্যপাল গতকাল শনিবারে তাঁর এই চিঠিটি টুইটারে পোস্ট করেন। চিঠিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কটাক্ষে জর্জরিত করেন রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যপালের করা এই টুইট নিয়ে এবার রাজ্যপালকে বিঁধলেন তৃণমূলের জনৈক বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - টুইটের জবাব স্বরূপ তিনি রাজ্যপালকে উদ্যেশ্য করে লেখেন, ” বক্তব্য টুইটারে জানানো রাজ্যপালের একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা তিনি জানতে চান, সংবিধানের ১৬৭–র ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইতে পারেন। কিন্তু উনি এমন একটা জিনিস জানতে চাইছেন, যেটা আগে থেকেই জানা আছে। প্রত্যেকবার যখন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয় তখন প্রকাশ্যেই ঘোষণা হয় কী কী নতুন বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।” রাজ্যপালের উদেশ্যে তিনি টুইটারে আরো লিখেছেন, “এই সম্মেলন করতে কত খরচ হয়েছে, তা তো শিল্প দপ্তরের বাজেটেই থাকবে। রাজ্যপাল যদি জানতেন যে, কীভাবে বাজেট ডকুমেন্ট পড়তে হয়, তবে বুঝতে পারতেন কত খরচ হয়েছে। তাঁর এই প্রশ্ন অবান্তর, অবাস্তব এবং অপ্রয়োজনীয়।” অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রবর্তিত নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্য সন্তুষ্ট নয়। রাজ্যের তরফ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি বিষয়ের পর্যালোচনার জন্য। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় রাজ্য সরকারের নির্মিত জাতীয় শিক্ষানীতি বিষয়ক কমিটির পতি ব্যাঙ্গের সুরে মন্তব্য করেছেন, “ আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বিরোধিতা করা হবে। তার পর কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটি কী বলবে, সেটাও নিশ্চয়ই বলে দেওয়া হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি সৌগত রায়। বাবুল সুপ্রিয়কে ‘অজ্ঞ’ বলে সম্বোধন করে তিনি বলেছেন, ” বাবুল সুপ্রিয় শিক্ষা নিয়ে যত কম বলবেন তত ভাল। উনি গানটান নিয়ে বললে ভাল করতেন। রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যে ছ’জনের কমিটি তৈরি করেছে, সেই বিজ্ঞপ্তি বাবুল সুপ্রিয় ভাল করে পড়েননি। তাতে কোথাও লেখা নেই যে, বিরোধিতা করতে হবে। কমিটিকে বলা আছে যে, নতুন শিক্ষানীতি নেওয়া হচ্ছে, তা পর্যালোচনা করে মতামত দিন ১৫ আগস্টের মধ্যে।” আপনার মতামত জানান -