এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করে ভোটার তালিকা নিয়ে বড়োসড়ো হুঁশিয়ারি মমতার,

বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করে ভোটার তালিকা নিয়ে বড়োসড়ো হুঁশিয়ারি মমতার,

গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে রেশন কার্ডের ভেরিফিকেশন ও সংশোধনী কাজ। সরকারি অফিসগুলোতে দেখা যাচ্ছে লম্বা লাইন। ডিজিটাল রেশন কার্ড এবং ভোটার কার্ডের আবেদন থেকে শুরু করে সংশোধন প্রক্রিয়া চলায় পুজোর মুখে রাজ্যের মানুষ হয়ে উঠেছেন শশব্যস্ত। উপরন্তু এনআরসি আতঙ্কে ভুগে কেউ আর সামান্যতম ভুল করতে চাইছেন না। প্রত্যেকেই ভাবছেন একটা ভুল হলেই হতে হবে গৃহহীন। এই আশঙ্কাকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তামাম রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ভোটার তালিকা থেকে যেন কোনভাবেই ইচ্ছাকৃতভাবে কারোর নাম বাদ না দেওয়া হয়। বাংলায় এনআরসি হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে জানিয়ে দিলেন। উপরন্তু তিনি নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ডের ভুল সংশোধনের সীমাও বাড়িয়ে দিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে মেদিনীপুরের ডেবরায় উপস্থিত থাকেন। এবং সেখান থেকেই তিনি বলেন, এনআরসি আতঙ্কে ভুগে 11 জন আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বিধায়ক, জনপ্রতিনিধিদের স্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দেন, ভোটার তালিকা দেখার। প্রত্যেকে যেন ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারে। তিনি আরো বলেন, যাদের নথিপত্র কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে বা হারিয়ে গেছে, তাঁরা যেন সবরকম সাহায্য পান ভোটার লিস্টে নাম তুলতে গেলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী সব পঞ্চায়েত, সমিতি,জেলা পরিষদের সদস্য ও বিধায়ক, সাংসদদের প্রত্যেককে জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন রেশন কার্ড ভেরিফিকেশন ভ্রম সংশোধনীর সময়সীমা বাড়িয়ে দিলেন। প্রথম পর্বের সংশোধনী শেষ হচ্ছে 27 সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় দফায় এই ভেরিফিকেশন সংশোধনী শুরু হবে আবার 5 নভেম্বর থেকে। চলবে 30 শে নভেম্বর পর্যন্ত।

এ রাজ্যে এনআরসি হওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে এসেছেন। এনআরসির বিরুদ্ধে তিনি রাজপথে নেমেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করে তিনি এনআরসি সংক্রান্ত আলোচনাও করেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নিয়ে তিনি কোনো আলোচনা করেননি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না। তিনি আসামের এনআরসি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে এসেছেন।

তবে পরবর্তীতে বিজেপি শিবির পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এনআরসি কেই হাতিয়ার করেছে। আর এই হাতিয়ার পশ্চিমবঙ্গে প্রয়োগ করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালাবে তাঁরা বলে জানিয়েছে। এনআরসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!