এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে কোভিড বিষয়ে একাধিক বাঙালি চিকিৎসকের গবেষণার বিশ্বস্বীকৃতি

বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে কোভিড বিষয়ে একাধিক বাঙালি চিকিৎসকের গবেষণার বিশ্বস্বীকৃতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা বিষয়ে একাধিক বাঙালি চিকিৎসকের গবেষণাকে স্বীকৃতি জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গতবছর করোনা সংক্রমণ শুরু হলে যখন দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষিত হয়, সেসময় কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের ৮ জন চিকিৎসক করোনা বিষয়ে একটি গবেষণা শুরু করেছিলেন। যারা হলেন চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক, সক্ষম পারোলিয়া, শুভম জানা, দেবারতি কুণ্ডু, সুজিত করপুরকায়স্থ, ‌কৃষ্ণাংশু রায়, নীনা দাস ও অশোককুমার মণ্ডল প্রমুখরা। করোনা বিষয়ে মানুষ কতটা সচেতন হয়েছেন? সে বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন এই চিকিৎসকেরা।

শুধুমাত্র ভ্যাকসিন বা চিকিৎসার দ্বারা করোনা দূর করা যে অসম্ভব, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ভ্যাকসিন, চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি পালনও যে আবশ্যক, তা সকলেই জানেন। করোনা বিষয়ে জনগণ কতটা সচেতন? তা জানতেই গবেষণা চালিয়েছিলেন এই চিকিৎসকেরা। তাঁদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, মানুষ করোনা বিষয়ে কতটা সচেতন হয়েছে? সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁরা এই সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সমীক্ষার দ্বারা যাচাই করা যায় যে, সমাজের কোন স্তরে কতটা সচেতনতা বিস্তার করেছে? সচেতনতা বিস্তার করতে কতটা জোর দিতে হবে? কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে? তাঁদের এই গবেষণা জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক রিসার্চ পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য তাঁদের এই গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড গ্লোবাল লিটারেচার তালিকাতে প্রকাশ করা হয়েছে তাঁদের এই গবেষণা।

তাঁদের এই গবেষণা সম্পর্কে চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক জানালেন যে, তাঁদের এই সমীক্ষার উপযোগীতাকে হু এর পক্ষ থেকে মান্যতা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশ যারা এই ধরনের গবেষণা করতে সক্ষম নয়, তাদের জন্য গ্লোবাল লিটারেচার তালিকা করা হয়েছিল। বাঙালি হিসেবে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর পাশে তাঁদের গবেষণাপত্র নিয়ে তাঁরা দাঁড়াতে পেরেছেন বলে আনন্দিত। চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক জানিয়েছেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে ১০ টি প্রশ্ন তাঁরা ১০০০ জন ব্যক্তির কাছে পাঠিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রশ্ন করা হয়েছিল করোনা সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করেন তাঁরা? করোনা রোধ করতে গেলে কি কি করা আবশ্যক বলে তাঁরা মনে করেন? করোনা রোধে তাঁরা কতটা প্রস্তুত? করোনা রোধ করতে তাঁরা কি কি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক? ইত্যাদি। ১০০০ জনের কাছে এগুলি পাঠানো হলেও ৩৫৫ জন এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলেন। মূলত শহরের বাসিন্দারা এই উত্তর দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ হলেন কলকাতার বাসিন্দা। অধিকাংশই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক জানালেন, শহরের তরুণ প্রজন্মের মানুষের মধ্যে সচেতনতার অধিক প্রসার ঘটেছে। যা এই সমীক্ষার মধ্যে উঠে এসেছে। তিনি জানালেন, তরুণ প্রজন্মের মানুষেরা প্রযুক্তির ব্যবহারে অধিক পরিমাণে দক্ষ থাকার কারণে তারা অধিক সংখ্যায় উত্তর দিতে পেরেছিলেন।

তুলনায় গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যপরিসেবা কম থাকার কারণে সেখানকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেকটাই কম। তিনি জানালেন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন ও ইংরেজি ভাষা জানেন এই ধরনের মানুষের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে। এই ধরণের সমীক্ষা আরও বিস্তারিত ভাবে করা সম্ভব বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। তাঁরা জানান, বছরে অন্তত দুবার এই ধরনের সমীক্ষা করা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে সচেতনতা কতদূর অগ্রসর হয়েছে? বা কতটা ঘাটতি আছে? তা স্পষ্ট হবে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অল্প মানুষকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। লকডাউন এরমধ্যে একাজে বেছে নেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়াকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে তাঁরা আবার সমীক্ষা করেছেন। সেই সমীক্ষা অনেকটা বিশদভাবে করা হয়েছে। সমীক্ষায় যেসব তথ্য তাঁরা পেয়েছেন সেগুলোর এখন বিশ্লেষণ করার কাজ চলছে। এই তথ্য থেকে আরও নতুন বিষয় উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!