এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে গরহাজিরা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে গরহাজিরা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল কলাইকুন্ডায় হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে একটি প্রশাসনিক বৈঠক। কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সদ্য হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে প্রধানমন্ত্রী গতকাল উড়িষ্যা এবং বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন এবং কলাইকুন্ডায় উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বাংলাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর সাথে বৈঠকে বসার কথা ছিল। সেই বৈঠকে যোগ না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সামান্য সময়ের জন্য দেখা করে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে দিয়েছেন তাঁর হাতে। আর এখান থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভঙ্গ হয়েছে বলে এবার অভিযোগ করলেন বিজেপির একাধিক নেতা এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙ্গার অভিযোগে বরাবরই রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে দুষতে থাকে। এবার পুরো উলটো ছবি। প্রসঙ্গত গতকাল প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল সকালে সেই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর হাজির থাকার কথা সামনে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে থাকতে অস্বীকার করেন।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি আলাদা সময় চেয়ে নেন কথা বলার জন্য। আর এখানেই বেধেছে গন্ডগোল। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর টুইট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত না থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর আধিকারিকরা সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লংঘন করেছেন। অন্যদিকে পাল্টা তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় প্রত্যাঘাত ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লংঘন করা নিয়ে। পাশাপাশি গতকালের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল নেত্রী অসংবেদনশীল মানুষের দুর্দশার প্রতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একই সাথে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজকে টুইট করে বলেন ঘূর্ণিঝড় যেভাবে অসংখ্য নাগরিকের ওপর প্রভাব ফেলেছে, সেখানে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করাই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। ঠিক এই সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অহংকারকে প্রশ্রয় দিয়েছেন যা রা্নৈতিক লড়াইকে প্রতিফলিত করেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও একইভাবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযুক্তের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে সাংবিধানিক নীতি এবং সমবায় মন্ত্রীতন্ত্রের হত্যা করেছেন।

রাজনাথ সিংও এদিন টুইট করে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী দুজন প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে বাংলার মানুষকে সহযোগিতার জন্য যখন প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ যথেষ্ট পীড়াদায়ক। জনসেবা এবং সাংবিধানিক কর্তব্য পালনের বাইরে রাজনৈতিক মতভেদকে প্রাধান্য দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্র্‌ যা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর মূল ভাবনাকে আঘাত করে। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এবং তিনি বিজেপি নেতাদের পাল্টা প্রত্যাঘাত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রীয় আইন ভাঙা নিয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জ্ঞান না দেওয়ার কথা বলেছেন।

সব মিলিয়ে গতকালের বৈঠক নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকালের বৈঠক নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা বা বিরোধীনেত্রীর উপস্থিত থাকার কারণ কি? রাজ্যপালের এই বৈঠকে থাকা নিয়ে অবশ্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো মতামত দেওয়া হয়নি। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সামান্য সময়ের বৈঠকে যোগ দিলেও বিতর্ক যে এড়াতে পারলেন না সেকথা স্পষ্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!