এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার পাল্টা উত্তরপ্রদেশ? হিংসা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে আন্দোলনের প্রস্তুতি তৃণমূলের!

বাংলার পাল্টা উত্তরপ্রদেশ? হিংসা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে আন্দোলনের প্রস্তুতি তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এতদিন বাংলার হিংসা নিয়ে বারবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বিজেপির পক্ষ থেকে লাগাতার বাংলার মানুষ নিরাপদ নয় বলে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলার হিংসার কথা তুলে ধরে বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে লাগাতার তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করা হয়েছে। যার জেরে অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু বাংলার হিংসার কথা তুলে ধরে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো নিয়ে যখন বড়াই করতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে, ঠিক তখনই উত্তরপ্রদেশের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিংসার ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে চলে আসায় রীতিমতো ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির।

আর বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের হিংসার ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই এখন তা নিয়ে ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল সহ অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এক্ষেত্রে আসন্ন অধিবেশনে এই ব্যাপারে বিজেপি সরকারের উত্তরপ্রদেশের সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। অর্থাৎ এতদিন বাংলার আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে হিংসার ঘটনা নিয়ে যখন সংসদে সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার বিজেপি সাংসদদের, তখন পাল্টা বিজেপির উত্তরপ্রদেশের হিংসার কথা তুলে ধরে সেই গেরুয়া শিবিরকে নাস্তানাবুদ করতে সংসদেই সোচ্চার হতে পারেন তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদরা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ উন্নাওয়ের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দলের এক প্রার্থীকে ব্যাপক মারধর করা হচ্ছে। কিন্তু সামনে পুলিশ থাকলেও, নীরব ভূমিকায় রয়েছে। আর এরপরই রীতিমতো সরব হতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টিকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশের ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় থেকে শুরু করে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক শুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “উত্তরপ্রদেশে হিংসা হয়েছে। সাংবাদিককে মেরে ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বলতে শোনা গিয়েছে, তার ওপরে বিজেপি নেতা কর্মীদের হামলার কথা। কোথাও কর্তব্যরত পুলিশকে কাজে লাগিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে। মানবাধিকার কমিশন কোথায় গেল? পশ্চিমবঙ্গের আধাসামরিক বাহিনী দিয়ে আট দফা ভোট করানোর শোচনীয় আইন-শৃঙ্খলাকে সামনে রেখে। রাজ্যপাল গেলেন কোচবিহার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে, মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা রাজ্যে ঘুরলেন, বিজেপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে এই ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশের ঘটনার কথা তুলে ধরে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিন তিনি বলেন, “সাংবাদিক থেকে মহিলা, উত্তরপ্রদেশের সবাই আক্রান্ত। বাংলায় হারের পরে উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। ফলে যে কোনো মূল্যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কারণেই তারা হিংসার আশ্রয় নিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে তাণ্ডব চালিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছে। আর পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে প্রতিশোধের রাজনীতি করছে।” আর একের পর এক তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে সাংসদের এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একেবারে কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, শুধু বাংলা নয়, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বাংলার বিজেপি নেতারা বারবার বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক নয় বলে তুলে ধরেছেন। যার ফলে বাংলার শাসন ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি নেতাদের পক্ষ থেকে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করার পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিজেপি শাসিত রাজ্যে এত হিংসা ঘটনা ঘটে না। এক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে বিহারের কথা বারবার তুলে ধরতে দেখা যাচ্ছিল তাদের।

কিন্তু বিজেপি নেতারা যে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে সবথেকে বেশি বড়াই করেন, সেই উত্তরপ্রদেশের হিংসার ঘটনা সামনে আসার পর এবার বিন্দুমাত্র জায়গা বিজেপিকে ছেড়ে দিতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। যার কারণে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে আসন্ন অধিবেশনে গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল নিল ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে তৃণমূলের এই সোচ্চার হওয়ার ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা কি যুক্তি দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!