এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার পর দিল্লিতেও “দিদিকে চাই” স্লোগান, তৃণমূলের অন্দরে আশার আলো!

বাংলার পর দিল্লিতেও “দিদিকে চাই” স্লোগান, তৃণমূলের অন্দরে আশার আলো!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এমনকি বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় হাইপ্রোফাইল নেতারা যে তার কাছে ফিকে, তা নির্বাচনের ফলাফলের পরে কার্যত প্রমান করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়‌। বাংলার ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন থাকা ভারতীয় জনতা পার্টিকে কার্যত 77 এ আটকে দিয়ে 213 টি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, তৃতীয়বার মানুষের মন জয় করে যখন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসলেন, তখন এবার তার পরবর্তী টার্গেট যে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহদের গড়ে হানা দেওয়া, তা তৃণমূলের নানা নেতার কথার মধ্যে দিয়েই আভাস পাওয়া গিয়েছিল।

সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যে তৃণমূল কংগ্রেস এবার ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করতে শুরু করবে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এমনকি 2024 সাল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রধান টার্গেট বলে দাবি করেছিলেন একাংশ। আর এবার তৃণমূল তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পর ‘দিল্লিতে দিদিকে চাই’ স্লোগানে উঠতে দেখা গেল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত পরিবারের কাছে অনেকেই খাবার পৌঁছে দিতে শুরু করেছেন। আর সেই রকমই উদ্যোগ নিয়েছেন বেহালার বাসিন্দা দেবজিত পান্ডে। যেখানে খাবার প্যাকেট করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি একটি অভিনব উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে তাকে। যেখানে খাবারের প্যাকেটের উপর লেখা রয়েছে, “মোদিকে করো টাটা বাই বাই, দিল্লিতেও এবার দিদিকে চাই।”

অর্থাৎ খাবার প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি যাদের কাছে এই খাবার প্যাকেট পৌঁছে যাচ্ছে, তাদের কাছে আগামী ভবিষ্যতের রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাইছেন দেবজিতবাবু বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেদিক থেকে তিনি যে তৃণমূল অন্তপ্রাণ, তা তার এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার।

কিন্তু “দিল্লিতেও দিদিকে চাই” বলে খাবার কাগজের উপর লিখে যেভাবে তিনি এই উদ্যোগ নিলেন, তাতে নানা মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকে এই বিষয়টিকে নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেও, দেবজিতবাবুর এইরকম অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হঠাৎ তার মাথায় এই রকম ভাবনা কেন? কেন এইরকম উদ্যোগ নিলেন তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে দেবজিত পান্ডে বলেন, “আমার অনুপ্রেরণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় 100 এর বেশি করোনা আক্রান্তের বাড়িতে প্রত্যেকদিন প্রাতরাশ থেকে শুরু করে নৈশভোজ বিনামূল্যে খাবার পৌঁছানোর দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আমি কমিউনিটি কিচেন করেছি। প্রাতরাশ থেকে শুরু করে নৈশভোজের খাবারের প্যাকেট আমি পৌঁছে দিচ্ছি। 2021 এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, দেশের মূল বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে দিল্লির মসনদে বসাতে গেলে লড়াইটা এখন থেকেই শুরু করতে হবে। আমি আমার প্রিয় নেত্রী প্রচার তাই এখন থেকে, আজকে থেকেই করতে চাইছি। আর সেটাই করছি।”

অর্থাৎ তিনি যে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে চান না দিল্লির আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর জন্য, তা তার এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। তবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই রকম প্রচার নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তারা বলছেন, বিপদের সময় রাজনীতি কেন? তবে দেবজিৎবাবু অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিপদের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের পাশে থাকবেন। তাই আবার যাতে নরেন্দ্র মোদী দিল্লির ক্ষমতা দখল করতে না পারে, তার জন্য বাংলার মানুষের কাছে “দিল্লিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাই”

বলে খাবারের প্যাকেটের উপর লিখে তার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন বেহালার এই বাসিন্দা। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ এতদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের পরবর্তী লক্ষ্য যে ধীরে ধীরে গোটা ভারতবর্ষে দলকে বিস্তার লাভ করানো, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তপ্রাণ বেহালার বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ঘরে ঘরে খাবার প্যাকেটের ওপর “দিল্লিতেও দিদিকে চাই” বলে তৃণমূলকে অনেকটাই মাইলেজ পাইয়ে দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!