বাংলার রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তনের জন্য মমতার দেখানো পথেই এবার বড় ঘোষণা দিলীপ ঘোষের বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকের কাঠিটি তাহলে পড়েই গেল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের দলীয় সংগঠনকে মজবুত করার পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ সদস্যদের পুনরায় দলভুক্তিকরণ, দলে নতুন সদস্যের আনয়ন সহ বাড়ি বাড়ি দলের বার্তা পৌঁছে দেবার কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। প্রসঙ্গত, গত ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল ত্যাগ করে অন্য দলে চলে যাওয়া তৃণমূল সদস্যদের পুনরায় দলে প্রত্যাবর্তনের আহবান জানিয়েছিলেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তালে তাল মিলিয়ে আজ শুক্রবার ২২ শে শ্রাবন কবিগুরুর মহাপ্রয়াণ দিবসে কবিগুরুকে শদ্ধা জানিয়ে নতুন একটি কর্মসূচি গ্রহণ করলো রাজ্য বিজেপি। সংবাদসূত্র অনুযায়ী, আজ বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মূর্তিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে গানের একটি এলবাম প্রকাশ করে রাজ্য বিজেপি। আর এরপরেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর একটি বিশেষ বিবৃতির মাধ্যমে জানান, ” নতুন করে সদস্য সংগ্রহ আজ থেকে শুরু হল। ইতিমধ্যেই বাংলায় ৯৫ লক্ষ সদস্য রয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য তিনকোটি।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই ঘোষণার পরেই রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিজেপি দলে যোগ দেবার অনুরোধ জানালেন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” “বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিবার বিজেপি। সকলকে সেই পরিবারের অংশ হওয়ার আবেদন করছি।” রাজ্য সভাপতির এই ঘোষণার মধ্য দিয়েই ঘোষিত হলো বিজেপির একটি নতুন কর্মসূচি ‘আমার পরিবার বিজেপি পরিবার’ কর্মসূচি। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির তিন তারকা দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় ও রাহুল সিনহা। প্রসঙ্গত, বিজেপির এই অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক পূর্বেই একটি ভিডিও বার্তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই ভিডিওবার্তার মাধ্যমে তিনি বলেন, “বাংলায় গ্রহণ লেগেছে। দুর্নীতিতে ঢেকে গিয়েছে। কাটমানি ছাড়া কোনও কিছুই হচ্ছে না।” সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থির মোকাবিলাতেও রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ বলে অভিমত দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, “রাজ্যের পরিকল্পনা সঠিক নয় বলেই বাংলার পরিস্থিতি এরকম। সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে।” করোনা পরিস্থিতির সঙ্গেসঙ্গেই রাজ্যের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা , সেইসঙ্গে রাজ্যের কৃষকদের দুরাবস্থা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের একাধিক আঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন তিনি। তবে, এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোলা সর্বভারতীয় সভাপতির অভিযোগ গুলির কোন জবাব দিতে দেখা যায়নি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আপনার মতামত জানান -