এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন তৃণমূল নেত্রী, জেনে নিন

বাংলার শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন তৃণমূল নেত্রী, জেনে নিন


সম্প্রতি কাশ্মীরের জঙ্গি হানার ঘটনায় সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল মুর্শিদাবাদের নাম। মুর্শিদাবাদ জেলার 15 জন শ্রমিকের একটি দল কাশ্মীরে গিয়েছিল কাজের উদ্দেশ্যে। সেখানে পাঁচ শ্রমিককে ঘরের বাইরে বার করে এনে এলোপাতাড়ি গুলি করে মেরে ফেলে জঙ্গিরা। যে ঘটনায় সারাদেশে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছিল। এই ঘটনায় সেই সময় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। তবে এবার বাংলা শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলার পাঁচ শ্রমিকের জঙ্গিদের হাতে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রমবিভাগ। আর তার ফলে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার শ্রমিকদের সুরক্ষিত করার কথা ভেবেছে। সে কারণেই বাংলার শ্রমিকদের সুরক্ষিত করতে শ্রমদপ্তর এবার কেরল, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যাঁরা কাজে যান সেইসব শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে সুরক্ষিত থাকবেন।

প্রতিমাসে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ 24 পরগণা, মেদিনীপুর বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া থেকে বিভিন্ন সংস্থায় কাজের জন্য শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে যায়। রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আখতার জানিয়েছেন, ‘অন্যান্য রাজ্যে আমাদের শ্রমিকদের উপর হামলার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এটা একেবারেই প্রাথমিক স্তর, কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে শ্রমিকদের সুরক্ষা ও নিরাপদ করতে অন্য রাজ্যের সঙ্গে আমরা মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করব।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরো জানান, ওড়িশা, কর্ণাটক এবং কেরল একে অপরের সঙ্গে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তাদের শ্রমিকদের নিরাপদে রাখতে। এই ধরনের চুক্তির আওতায় এই স্বাক্ষর সাহায্য করবে যদি কোনো শ্রমিক সমস্যায় থাকেন। এটা খুবই ভালো পদক্ষেপ এবং এই চুক্তির জন্য যদি নতুন কিছু হয় তারও অপেক্ষায় রয়েছি।’ উপত্যকায় হত্যার ঘটনায় সম্প্রতি কাশ্মীর থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার একশোর বেশি শ্রমিক এরাজ্যে ফিরে এসেছেন।

নিয়ম অনুযায়ী, শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে কাজে গেলে যে রাজ্য তাদের পাঠাচ্ছে, সেই রাজ্যের প্রশাসনকে জানাতে হবে। কতজন শ্রমিক ভিনরাজ্যে গেল, সেসব শ্রমিকদের পরিচয়পত্র, ঠিকানাসহ নথি জমা দিতে হবে, গ্রাম পঞ্চায়েত, লেবার কমিশন বা জেলা শাসকের দপ্তরে। সাগরদিঘী তৃণমূলের বিধায়ক সুব্রত সাহা জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের বড় সংখ্যক শ্রমিক অন্য রাজ্যে নিজে থেকে কাজ করার জন্য বা কোনও বেসরকারি ঠিকাদার ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে কাজে পাঠায়। পঞ্চায়েত প্রধান শ্রমিকদের পরিচয় সহ ঠিকানা জমা দেওয়ার জন্য বারংবার বলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।’

তিনি আরও জানান, ‘দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের বাংলা থেকে ভারতের যেকোনো প্রান্তে কাজের জন্য পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত মউ এইসব শ্রমিকদের সুরক্ষা প্রদান করবে। আমার মনে হয় মৌ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়া উচিত কেরল ও মহারাষ্ট্রের সঙ্গে। কারণ এই দুই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলার শ্রমিকরা কাজের জন্য যান। যদি দরকার পড়ে তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ব্যক্তিগত স্তরে গিয়ে এই বিষয়টি দেখবেন।’

আপাতত শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার যথেষ্ট চিন্তিত। অন্যদিকে, ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের পরিবারগুলিও ক্রমাগত দুশ্চিন্তায় ভোগেন। আর কাশ্মীরের ঘটনাটির ফলে তারা আরো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সমস্ত দিক থেকে শ্রমিকদের সুরক্ষিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে মৌ চুক্তির প্রসঙ্গকে রাজনৈতিক মহল থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আপাতত প্রাথমিক স্তর থেকে পরিকল্পনাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে সমস্ত পরিকল্পনাটি যাতে সফল হয় সেদিকে নজর রাখছে রাজ্যের শাসক দল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!