এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলায় অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার তৃণমূলের নজরে বাংলাভাষী অপর এক রাজ্য

বাংলায় অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার তৃণমূলের নজরে বাংলাভাষী অপর এক রাজ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। বিজেপির একাধিক প্রচেষ্টার পরেও ২১৩ টি আসন লাভ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের এই অভাবনীয় সাফল্য যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করেছে তৃণমূলকে। এবার বাংলার গন্ডি ছাড়িয়ে অন্যান্য রাজ্যেও প্রভাব বিস্তারের লক্ষ নিয়েছে তৃণমূল। এই উদ্দেশ্যেই দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় তৃণমূল সম্পাদকের দায়িত্বে আনা হয়েছে। আর এবার তৃণমূলের নজর পরেছে অপর এক বাংলাভাষী রাজ্য ত্রিপুরা।

ত্রিপুরা জয়ের মাধ্যমে দেশজয়ের দিকে এগিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আর দুবছর পরেই ত্রিপুরাতে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন, আর তিন বছর পর লোকসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ত্রিপুরায় দলীয় সংগঠনকে শক্ত-পোক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এর প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সহযোগী হতে চলেছেন সদ্য তৃণমূলে ফিরে আসা মুকুল রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসা দিন দিন বাড়ছে দলের। নিজেকে ক্রমশ পরিণত রাজনীতিবিদ হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়সে নবীন হলেও তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্য ও সাংগঠনিক ক্ষমতাকে ভিত্তি করে ত্রিপুরায় এগিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। আর এদিকে তাঁর বড়োসড়ো সহায়ক হিসেবে উঠে এসেছেন মুকুল রায়। দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরায় বাম শাসন ছিল। এরপর ত্রিপুরায় শাসনক্ষমতা দখল করে বিজেপি।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সেসময় ত্রিপুরার বিশ্রামগঞ্জ এলাকায় রেললাইনের রুট বদলে দিয়ে ১০ হাজার মানুষকে গৃহহীন হওয়া থেকে রক্ষা করেছিলেন তিনি। সেখানকার মানুষ যা মনে রেখেছেন এখনো। আবার, তৃণমূলের দাবি, বিজেপি সরকারের ওপর সন্তুষ্ট নন রাজ্যবাসী। সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি, বেকারত্ব বেড়েছে রাজ্যে। সেইসঙ্গে এনআরসি, সিএএ নিয়ে আশঙ্কা আছে বহু মানুষের। এই সমস্ত কিছুকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল।

ইতিপূর্বে ত্রিপুরাতে মুকুল রায়ের উদ্যোগে বহু নেতা একসময় তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন, যদিও এরপর বিজেপির উত্থান তৃণমূলের অগ্রগতিকে অনেকটা ব্যাহত করে। সম্প্রতি আবার নতুন করে এগিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। একদিকে বাঙালির আবেগ, অন্যদিকে এনআরসি, সিএএর বিরুদ্ধে প্রচার ও সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রচার সমস্ত কিছুর মাধ্যমে ত্রিপুরায় বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। ত্রিপুরার মধ্যে দিয়েই দেশজয়ের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। তবে, তৃণমূলের এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে? তার জবাব একমাত্র দিতে পারে সময় ও জনতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!