এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলায় ভরাডুবির নতুন কারণ সামনে এল! ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ঘুম উড়ছে গেরুয়া শিবিরের?

বাংলায় ভরাডুবির নতুন কারণ সামনে এল! ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ঘুম উড়ছে গেরুয়া শিবিরের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির চূড়ান্ত ব্যর্থতা এসেছে। দলের এই শোচনীয় পরাজয়ের পর তার কারণ খুঁজতে শুরু করেছেন দলের একাধিক নেতা। একাধিক কারণ সামনে আসতে শুরু করেছে। তার মধ্যে একটি বড় কারণ সামনে এসেছে, যা হলো করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের ব্যর্থতা। রাজ্যের নির্বাচনে এর প্রভাব পড়েছে। দেশের সর্বত্র তীব্র হয়েছে করোনার সংক্রমণ। বিহার, উত্তরপ্রদেশের একাধিক স্থানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে করোনা সংক্রমণ। যারফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাধারণ মানুষ। যার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে।

একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, করোনা সংক্রমণ রুখতে না পারায় ক্ষোভ বাড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির বেশ কিছু নেতা। অনেকের অভিযোগ, দেশে করোনা সংক্রমণ যখন তীব্র আকার ধারণ করেছিল, সে সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে নির্বাচনী সভা করেছেন, যা মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনী প্রচারে বারবার জনসভা, রেলি, জমায়েত, করোনা বিধি না মানা যথেষ্ট ভাবে মানুষকে ক্ষুব্দ করে তুলেছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে এটাও জানাচ্ছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের যোগাযোগ বা সমন্বয় কম ছিল। আবার, মুখ্য সায়েন্টিফিক পরামর্শদাতা কে বিজয় রাঘবন করোনা সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করলেও, দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে তিনি প্রায় নিশ্চুপ ছিলেন। আবার করোনা রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়াসের উপরও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যেমন সমস্যা রয়েছে, অক্সিজেনের যেমন অভাব শুরু হয়েছে, তার মধ্যে কুম্ভ মেলার আয়োজন নিয়েও যথেষ্ট সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে নিজের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে।

স্বাস্থ্য পরিষেবা রাজ্যের বিষয় হলেও কেন্দ্র রাজ্যের সঠিক যোগসুত্র না থাকার কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে একাধিক নির্বাচনে। এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে যদি রাগ, ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে। তবে নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বেই। উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যতে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির পরাজয় ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ গাংওয়ার একটি চিঠি লিখেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেনের অভাব চলছে, ওষুধের কালোবাজারি চলছে, যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে দল।

স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় মানুষের মনে ক্ষোভ বাড়ছে। এদিকে আগামী বছরে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার তিন বছর পর লোকসভা নির্বাচন। এই অবস্থ্যায় করোনা মোকাবিলায় দিশেহারা অবস্থা বড়সড় অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিতে পারে বিজেপির কাছে, আশঙ্কা করছেন অনেকে। দলের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির শাখা সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!