বাংলায় করোনা মোকাবিলায় আড়াই কোটি বাড়িতে ৩০ কোটি বার লোক পাঠিয়েছেন মমতা! জানালেন মোদীকে! জাতীয় রাজ্য August 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যে চূড়ান্ত আশঙ্কাজনক, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসন আবারও রাজ্যে লকডাউন ফিরিয়ে এনেছেন। তবে তা সাপ্তাহিকভাবে চলছে। অন্যদিকে কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে চলছে কড়াকড়ি। এই অবস্থায় পরিস্থিতির সার্বিক রিপোর্ট দিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই ভিডিও কনফারেন্সে 10 টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। যাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম বলে জানা গেছে। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের পরিস্থিতি তুলে ধরার সাথে সাথে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতিও বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এই প্রসঙ্গে তিনি কেন্দ্রের কাছে আর্থিক বকেয়া টাকার দাবিও জানান বলে খবর। তবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কোন উচ্চবাচ্য করেনি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানান, রাজ্যের 53 হাজার কোটি টাকা বকেয়া এখনো কেন্দ্রের কাছে। শুধু তাই নয়, জিএসটি বাবদ 4135 কোটি টাকাও রাজ্য পাবে কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু এর কোনোটির সম্বন্ধেই কেন্দ্র কোন উচ্চবাচ্য করছেনা। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত 25 হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে করোনা খাতে। যার মধ্যে মাত্র 125 কোটি টাকা পাওয়া গেছে কেন্দ্রের কাছ থেকে। শুধু তাই নয়, আমফানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য বাংলার তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে 35 হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু সেখানেও 1000 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বাংলাকে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে জানা গেছে, ভারতের মধ্যে বাংলায় যেভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তা নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিত জানান মুখ্যমন্ত্রী এবং এই প্রসঙ্গে আশা কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে আড়াই কোটি বাড়িতে অন্তত 30 কোটি বার গেছেন রাজ্যের আশা কর্মীরা এবং করোনা রোগীদের যথাযথ সাহায্য করেছেন তাঁরা। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার করোনা রোগীদের সম্পর্কে তথ্য যুগিয়েছে সরকারকে আশা কর্মীরা। আশা কর্মীদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগেই করোনা যোদ্ধা বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের উৎসাহ ভাতাও বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর যতই গর্বের সাথে করোনা পরিস্থিতি সামলানোর কথা বলুন না কেন, রাজ্যনা,করোনা পরিস্থিতি কিন্তু যথেষ্ট বিপদজনক। করোনার থাবা ক্রমশই চওড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার লাগাতার টেস্ট করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত রাজ্যের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি সামলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা কিভাবে করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেদিকেই নজর থাকবে সবার। আপনার মতামত জানান -