এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সারা দেশে সংক্ৰমণ কমলেও, পুজোর হুল্লোড়ে হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে বাংলায়! স্পষ্ট জানাচ্ছে কেন্দ্র

সারা দেশে সংক্ৰমণ কমলেও, পুজোর হুল্লোড়ে হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে বাংলায়! স্পষ্ট জানাচ্ছে কেন্দ্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– করোনা সংক্রমনের পরে উৎসবের মরসুমে সেই সংক্রমণ যাতে লাগামছাড়া না হয়, তাই আগে থেকেই মণ্ডপে দর্শনার্থীর ভিড় সামলাতে আদালত রায় দিয়েছিল। তবে সেক্ষেত্রে মানুষকে যে ঘরের বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখা যায়নি, সেকথাও মেনে নিতে হচ্ছে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার দেখে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট সংক্রমিতের ৭৮%ই দেশের ১০ রাজ্যের মধ্যে রয়েছে।

আর সেই রাজ্যের তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তবে গত দু’সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ যেখানে এই তালিকার দশম স্থানে অবস্থান করছিল। সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গ উঠে এসেছে পঞ্চম স্থানে। তবে করোনা নিয়ে মৃত্যুর হার হিসেবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে পশ্চিমবঙ্গ। আর এই তথ্য থেকেই বর্তমানে রাজ্যের করোনা সংক্রমনের মাত্রা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সেকথা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন অনেকেই।

জানা গেছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে যেখানে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬৫৪৬ জন, সেখানে অন্য দিকে, কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী মৃত্যুর নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের নিরিখেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে কেরল। অন্যদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের নীচে কমে হয়েছে ৩৯৫৭ জন। অন্যদিকে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত এর কারণ হিসেবে কোর্টের নির্দেশে মানুষকে পুজো প্যান্ডেলে যাওয়া থেকে আটকানো গেলেও রেস্তোরা, ছোট খাবারের দোকানগুলিতে, এমনকি মলে বসে আড্ডা দেওয়া থেকে যে মানুষকে বিরত রাখা যায়নি, এমনটাই বলে মনে করছেন অনেকে। তবে চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতে মানুষের মধ্যে সচেতনতার আভাস দেখা গেছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। তবে এক্ষেত্রে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির পূর্বাভাস অনেকখানি দায়ী সে কথাও বলেছেন অনেকে।

তবে এর সঙ্গে আবহাওয়া ঠিক হতেই অষ্টমীর রাত থেকেই প্যান্ডেল এবং রাস্তাঘাটে ভিড় দেখা যায় বলেও জানিয়েছেন অনেকে। আর তাতেই খানিকটা সংক্রমণ ছড়ানোর ইঙ্গিত রয়েছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের কথায় যে পরিমাণ সংক্রমণের আশা করা হয়েছিল সেক্ষেত্রে সংক্রমণ যে অনেকটাই কম, সে কথা বলেছেন কেউ কেউ। তবে অন্যদিকে সার্বিকভাবে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও উত্তেজনা রয়ে গেছে কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনাকে কেন্দ্র করে।

জানা গেছে, আক্রান্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতাতে ৮৮৪ জন, উত্তর ২৪ পরগনাতে ৮৭৫ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনারতে ২৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও এক্ষেত্রে চিকিৎসকের অনেকেই মানুষের মধ্যে এই যে সচেতনতা হয়েছে একে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, সেইসঙ্গে এখনই যে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেমে যাচ্ছে না এবং মানুষকে এই সচেতনতা যে আরও অনেক দিন দেখিয়ে যেতে হবে, সেই কথাই শোনা গেছে চিকিৎসকদের মুখে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!