এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কালীপূজোর মরশুমে আবারো বাংলার ঘুম ওড়াতে চলেছে করোনা আতঙ্ক! কি জানাচ্ছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা?

কালীপূজোর মরশুমে আবারো বাংলার ঘুম ওড়াতে চলেছে করোনা আতঙ্ক! কি জানাচ্ছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যেকোনো পুজোর আগে উৎসব প্রিয় বাঙালিকে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হতে অনুরোধ করা হয়েছিল বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি উভয় তরফ থেকেই। সেখানে সরকার প্রশাসনই হোক বা চিকিৎসকরাই হোক মানুষকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিল বারবার। দূর্গা পূজার আগে সংক্রমনের কথা চিন্তা করে তাই কোর্ট থেকে সমস্ত পুজো প্যান্ডেলগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন করে দেওয়া হয়েছিল। তবুও সে ক্ষেত্রে শেষরক্ষা হয়নি বলেই দেখা গেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।

আর যা নিয়ে বস্তুত সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায় ভেবে দেখতে গেলে, এখন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে যা পরিস্থিতি তাতে সংক্রমণের হার যদি বাড়তে থাকে তবে রাজ্যে বেড পাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম, এমনকি স্বাস্থ্য কর্মীর অভাব হয়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যে যেখানে দেশে করোনা সংক্রমনের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, সেখানে নতুন করে কালীপুজো আসার আগে আবারও সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং মালদা জেলায় দুর্গাপূজার পরবর্তী সময়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়েছে। গত সাত দিনে সেখানে কমপক্ষে ১০০০ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে দুর্গা পুজোর পরে এখনো দুটি বড় বড় উত্‍সব বাকি রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেও যে মানুষ সার্বিক ভাবে অংশগ্রহণ করবে সেটাই মনে করা হচ্ছে। তাই আগামী মাসে ভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা যে আরও বাড়বে, সেই অনুমান কষ্ট কল্পনা নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস সুস্থতার হার আগের থেকে বেশি অনেকটাই। তবে এক্ষেত্রে প্রতিদিনের সংক্রমণ হার চিন্তা বাড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।

তাই চিকিত্‍সক মতে, প্রতিদিনের এই সংক্রমণের মাত্রা কমানো গেলেই, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। বস্তুত, বলতে গেলে দেশের অর্থনৈতিক দিক রক্ষা করার স্বার্থে বর্তমানে দেশে আনলক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন পরিষেবা শুরু করা হলেও দেশ থেকে যে করোনা বিদায় নিয়েছে বা দেশে যে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে গেছে সে কথা মনে করা মুর্খামি হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। আর তাই এই পরিস্থিতিতে যে কোনো উৎসবে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অসচেতন মানুষদেরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তারা।

তাদের মতে, বিভিন্ন জেলায় দুর্গাপুজোর পর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ছবি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেখানে অসচেতন মানুষের একটা বড় অংশেরই ভূমিকা ছিল এই কাজ করার পেছনে। তাই সাধারণ মানুষের সচেতনতাই অন্যান্য মানুষ তথা রাজ্যের উৎসব পরবর্তী করোনা সংক্রমনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলেই মনে করেছেন চিকিৎসকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!