এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বাংলায় জঙ্গিযোগ ও গরুপাচারের ‘বিষ’ কত গভীরে? খুঁজে দেখতে উঠেপড়ে লাগল কেন্দ্রীয় সংস্থা!

বাংলায় জঙ্গিযোগ ও গরুপাচারের ‘বিষ’ কত গভীরে? খুঁজে দেখতে উঠেপড়ে লাগল কেন্দ্রীয় সংস্থা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই বাংলায় গরু পাচার চক্র নিয়ে চলছিল টানাপোড়েন। কিন্তু সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে আল-কায়দা জঙ্গী গ্রেপ্তারের পর এবার গরু পাচার চক্র ধরতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের সন্দেহ জঙ্গি গোষ্ঠী খাতে অনেক সময় গরু পাচার চক্রের মূলধন নিয়োগ হয়ে থাকে। আর সে কারণেই বাংলায় জঙ্গী ধরা পড়ার সাথে সাথেই এবার গরু পাচার চক্রের হদিশ পেতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ইতিমধ্যেই জানা গেছে, গরু পাচারের মূল পান্ডা এনামুলের নাম। মালদা জেলার বাসিন্দা এই গরু পাচারের মাথা। মালদায় ওই পাচারকারীর বহু বেনামী সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাবে বলে দাবী করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর। কিন্তু গরু পাচার চক্রের সঙ্গে এবার খোঁজ চলছে স্থানীয় পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ এই চক্র জড়িত আছে কিনা। বাংলাদেশ এবং মালদার মধ্যে 40 কিলোমিটার জায়গা কাঁটাতারবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ঠিক একইভাবে 25 কিলোমিটার জল সীমান্তেও নেই কোন পাহারার ব্যবস্থা।

যথারীতি এই দুই জায়গায় পাকাপাকিভাবে পাহারার ব্যবস্থা না করলে গরু পাচার রোধ করা মুশকিল হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর ইতিমধ্যে সীমান্তে বিএসএফ এবং সীমান্তবর্তী এলাকার থানাগুলিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, মালদা এবং বাংলাদেশের মধ্যে পুরো জায়গাটা যদি কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়, তাহলে পুলিশের কাজও 99% সহজ হয়ে যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মালদা জেলায় পাচারকারীরা যাতে ধরা পড়ে, সেজন্য বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাচারকারীদের ছবিসহ পোস্টার দেওয়া হয়েছিল এলাকায়। স্থানীয় থানার পক্ষ থেকে সেক্ষেত্রে পুরস্কার ঘোষণার কথা বলা হয়েছিল। এবং এর ফলে প্রচুর মানুষ পাচারকারী সম্পর্কে তথ্য তুলে দেয় পুলিশের হাতে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এনামুল দীর্ঘদিন ধরেই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে। এবং তাঁর এই কাণ্ডকলাপে বিএসএফ এবং শুল্ক দফতরের কর্তাদের একাংশ জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে।

গোয়েন্দাদের অনুমান, শুধুমাত্র বিএসএফ কিংবা শুল্ক দফতরের কর্তারাই নন, এনামুলের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ এবং প্রশাসন আধিকারিকদের অনেকেই এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত। যে কারণে এনামুল রমরমিয়ে এতদিন ধরে পাচার চক্র চালিয়ে এসেছে। আপাতত গোয়েন্দারা এনামুলকে জেরা করে রাঘব বোয়ালদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গরু পাচার চক্র নিয়ে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে।

অন্যদিকে এনামুল সম্পর্কে এক গোয়েন্দা কর্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে মালদা জেলায় গরু পাচার চালিয়ে আসছে এনামুল। তাই এই জেলায় এনামুলের সম্পত্তি এবং অনুগামী থাকা খুব স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে‌। আর সেক্ষেত্রে এবার প্রত্যেকের পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরু পাচার চক্রের সাথে আবশ্যিকভাবে সন্ত্রাসবাদি যোগ থাকাও অসম্ভব নয়। আর সে কারণেই কেন্দ্রীয় দপ্তরের রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে গরু পাচার চক্রকারীদের খোঁজ। আপাতত গরু পাচার চক্রের পেছনে অন্য কোনো সন্ত্রাসী চক্র লুকিয়ে আছে কিনা তা জানার জন্য উৎসুক ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!