এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এবারের পুজোর কলকাতা আতঙ্কে থরথর কাঁপত? বাংলার আলকায়দা জঙ্গিদের থেকে উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা

এবারের পুজোর কলকাতা আতঙ্কে থরথর কাঁপত? বাংলার আলকায়দা জঙ্গিদের থেকে উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যেকোনো উৎসবের আগে দেশের বিভিন্ন শহরে বা স্থানে জঙ্গিহানা হওয়ার ছক কষা এবং সেই ছক বানচাল করার ঘটনা পরিচিত। এই পরিচিতি টিভির পর্দায় কোন সিনেমার মাধ্যমে যেমন হয় তেমনই বাস্তব পরিস্থিতিতেও এমন বহু ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে। যেখানে জঙ্গি-দমনে গ্রেপ্তারি ছাড়াও তাদের জেরা করে জানতে হয় তথ্য। সঙ্গে সেই মত নিতে হয় অনেক পদক্ষেপ। সম্প্রতি কলকাতায় এমন কোনো হামলা হতে চলেছিল কিনা সেই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এএনআইতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৩ বছর আগে যেভাবে গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশের আল-কায়দার বেশকিছু জঙ্গি, তেমনই এবছরেও মুর্শিদাবাদে ৯জন আল কায়েদার সদস্য ধরা পড়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের হাতে।

জানা গেছে, আগের বারের মত এবারও তারা কলকাতাকে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করেছিল বলে জানা যায়। সেই সঙ্গে কলকাতায় তাদের কোনো নাশকতার ছক ছিল কিনা সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। যেহেতু কলকাতার দুর্গাপূজা আর বেশিদিন অপেক্ষা নেই আর প্রতিবছরের মতো এবছরও মানুষের মধ্যে বড় ধরনের উত্তেজনা রয়েছে পুজোয় অংশগ্রহণ করার, সেই সঙ্গে সারা রাজ্যের মানুষ বেরিয়ে পড়েন দুর্গাপূজার আনন্দ উপভোগ করতে, তাই এমন সময় নাশকতার ছক করা জঙ্গী বাহিনীরকাছে স্বাভাবিক ব্যাপার বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আল-কায়েদার জঙ্গীরা যে দেশের বড় শহরগুলিতে নাশকতার ছক কষেছিল সে নিয়ে গোয়েন্দাদের কোনো সন্দেহ না থাকলে সামনে যেহেতু দুর্গাপুজোর মত বড় উৎসব রয়েছে, তাই কলকাতার মত এরকম কোন শহরে সেই ছক ছিল কিনা আপাতত সেই নিয়েই চিন্তা রয়েছে তাদের মধ্যে। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করার পর কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। লালবাজার থেকে জানা যাচ্ছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।

অন্যদিকে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতা স্টেশনের কাছ থেকে বাংলাদেশের আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। সেই সময় জানা গিয়েছিল এই সংগঠনটি আল-কায়েদার একটি ভারতীয় শাখা অফিসের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, যারা কিনা কলকাতায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। তবে এদের কাজ সম্পর্কে জানা যায় বাংলাদেশি ব্লগার এবং বুদ্ধিজীবীদের খুন করার পেছনে রয়েছে এই সংগঠন। সেইসময় ধৃতদের কাছ থেকে ভুয়ো পরিচয় পত্র ছাড়াও আল কায়দার কিছু নথি পাওয়া যায়। বস্তুত খবর নিয়ে জানা যায় সেই সময় এরা প্রত্যেকেই কলকাতায় অস্ত্র সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং সেই অস্ত্র সরবরাহকারী হচ্ছে মনোতোষ দে। বিশেষ করে উত্তর কলকাতায় ঘর ভাড়া নিয়ে এমন অস্ত্র তৈরি এবং মজুতের ছকে ছিল তারা।

তবে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে আল-কায়েদার যে সদস্যদের পাকড়াও করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরীর বেশ কিছু সরঞ্জাম এবং ধাতুর তৈরি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। সুতরাং বিস্ফোরক থাকা মানেই যে কোনো না কোনো নাশকতার ছক তারা কষেছিল সেই অনুমান করা হয়েছে। তবে সেই ছক পুজোর আগে কলকাতার কোন জায়গায় করা হয়েছিল কিনা সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। অন্যদিকে লালবাজারের গোয়েন্দারাও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। যদিও পুজোর আগে সাধারণত পুলিশ বেশি সতর্ক থাকে। তাছাড়া মেট্রো, শপিং মল থেকে শুরু করে পুজো প্যান্ডেল সবদিকেই পুলিশের নজর থাকে। তবুও কলকাতায় তারা কোনো ঘাঁটি তৈরি করেছিল কিনা, সেটাই জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!