করোনা নিয়ে আতঙ্ক? এদিকে নিঃশব্দে বাংলার ঘুম ওড়াচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস! এখনই আক্রান্ত ১৪ হাজার! অন্যান্য রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য September 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে জ্বর হলেই মানুষের মনে ভয় হচ্ছে, নিশ্চয়ই করোনা সংক্রমণ হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করতেও শুরু করছেন অনেকে। তবে তা হচ্ছে হিতে বিপরীত। তবে পরে যখন জানা যাচ্ছে আসল ভুল কোথায়, তখন অনেকখানি দেরি হয়ে গেছে। ফলে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে দেহে। সম্প্রতি এমনই অসুখে কাবু হচ্ছে বাংলা। আর আতঙ্কের নাম স্ক্রাব টাইফাস। সম্প্রতি যার আক্রমণে অসুস্থমানুষের সংখ্যা হাজার ছড়িয়েছে বলেই জানা গেছে। জানা গেছে, এই মাসের প্রথমেই জেলাওয়ারি যে তথ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে জমা পড়েছে তাতে রাজ্যে প্রায় ১৩,৭০০ জন স্ক্রাব টাইফাসের কামড়ে অসুস্থ হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মৃত্যুর কোনও খবর নেই বলেই জানা গেছে। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে আসা প্রতি দশ রোগীর মধ্যে ২-৩ জন রোগীই এই স্ক্রাব টাইফাসের শিকার। ফলে রাজ্যে স্ক্রাব টাইফাসের জন্য ইতিমধ্যেই আলাদা সেল খোলা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে সেখানকার তথ্য অনুযায়ী, স্ক্রাব টাইফাসের আক্রমণে সব চেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন মুর্শিদাবাদের মানুষজন। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা রয়েছে বলে জানা গেছে। উত্তর ২৪ পরগনার ডানলপ, বরানগরেও স্ক্রাব টাইফাসে অসুস্থ হয়ে রোগী আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসছেন বলেও জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - চিকিৎসকদের মতে একটি ওষুধেই সেরে যেতে পারে এই রোগ। তবে রোগ নির্ধারণের সময়ের ওপর নির্ভর করছে রোগীর সেরে ওঠার ব্যাপারটি। শরীরের এমন অংশে এই পোকা কামড়ায় যে মাঝে মাঝে সেটি বোঝা যায় না। আর এতেই সমস্যা তৈরি হয়। রোগীর প্রথমে জ্বর এলেও অ্যান্টিবায়োটিকে সেক্ষেত্রে কাজ হয় না। ফলে রুগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। তখন ডক্সিসাইক্সোলিন নামের এই ওষুধটি দিলে নিমেষেই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হয়। তবে ইতিমধ্যে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের এই রোগ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাজ্যের ৩০টি হাসপাতালকে স্ক্রাবের চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তা কার্যকরী হবে কি করে? স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে, সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে স্ক্রাব টাইফাসের তথ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে পাঠানোর জন্য পৃথক ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হবে। তবে এর বাইরেও অনেক প্রাইভেট চিকিৎসকদের এই পোর্টালে যুক্ত করা নিয়েও সমস্যা থেকে যায়। তাই পাঁচ দিনের বেশি জ্বর হলেই ডেঙ্গুর মতো এলাইজা টেস্ট করতে হবে বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। সেইসঙ্গে ডক্সিসাইক্লিন ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল রোগীকে দিতে হবে। এছাড়া রোগীর ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত কোনও অংশে ছোট-গভীর ক্ষত, সঙ্গে জ্বর, তীব্র যন্ত্রণা হলেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। আপনার মতামত জানান -