এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় পরিবর্তন নিয়ে কার্যত বোমা ফাটালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

বাংলায় পরিবর্তন নিয়ে কার্যত বোমা ফাটালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে গেরুয়া শিবিরে ইদানিং জোর তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পাঁচদিনব্যাপী বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। তাঁদের মধ্যে একদিকে যেমন ছিলেন একসময় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডার বর্তমানে বিজেপির অন্যতম নেতা মুকুল রায়, তেমনি অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে এই বৈঠকে তাল কাটে যখন মুকুল রায় একদিন যেতে না যেতেই কলকাতা ফিরে আসেন।

এবং সেই বিতর্ক এখনো বর্তমান। যদিও প্রাথমিকভাবে মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষ দুজনেই পুরো বিষয়টি অত্যন্ত লঘুভাবে দেখানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিতর্কের জল অনেক দূর গড়ায়। রাজনৈতিক মহলে জোর খবর রটে, সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার পদত্যাগ করতে চলেছেন। আর সেই নিয়েই এবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি নিজেই বার্তা দিলেন রাজ্যের উদ্দেশ্যে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দাবি করেন, তিনি একাই রাজ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলতে পারবেন।

অন্যদিকে তিনি যে এত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবেন না সেকথাও স্পষ্ট করে দেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ রীতিমতো কটাক্ষ করে বলেন, “যদি পদত্যাগ করতাম তাহলে এই চেয়ারে বসে থাকতাম না। দিলীপ ঘোষ একাই পারবে বাংলার পরিবর্তন ঘটাতে। যারা বাড়িতে বসে আছেন, বসে থাকুন। দেখে নেবেন কী হয়। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হলে মিষ্টি খেয়ে যাবেন।” অন্যদিকে রাজ্যে শিল্প না আসা নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি রাজ্যকে আক্রমণ করে এদিন বলেন, “বাংলায় ঠাকুরের উদ্ধোধন দেখা যায়, কিন্তু শিল্পের উদ্বোধন নয়।” অন্যদিকে সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্য সরকারের দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজ্যপালের মন্তব্যকে সমর্থন করে পাল্টা জানিয়ে দেন, এবার বিজেপি রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেত পত্র প্রকাশ করতে চলেছে। একইভাবে রাজ্য বিজেপি সাংসদ এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী 5 তারিখ থেকে আবার বিজেপির নতুন সদস্য সংগ্রহ শুরু হবে। আর এবার তিন কোটি সদস্য পদ পূরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

আগামী 5 আগস্ট অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধন। কিন্তু রাজ্যে সেই দিন পালন হবে লকডাউন। আর এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে লকডাউন পুনর্বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। পাল্টা আবারও তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার একটি ঐতিহাসিক দিন। তাই সেদিন সরকারের উচিত লকডাউন পালন না করা। অন্যদিকে সম্প্রতি বিভেদের রাজনীতি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সোজাসুজি অভিযোগের আঙুল তোলেন শাসক দল তৃণমূলের দিকে।

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সম্প্রতি বিজেপি শিবিরেও শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। আর সেই ভাঙ্গনকে ধামাচাপা দিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি তৎপর হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে, যে বিজেপি থেকে বহু হেভিওয়েট নেতা আসতে চলেছে শাসক শিবিরে। সেই নিয়েও বর্তমানে জলঘোলা চলছে। এই অবস্থায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি কিছুটা রাজনৈতিক গুঞ্জন থামাতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!