এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে এবার সুপ্রীমকোর্টে মামলা, ব্যাপক চাপানউতোর

বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে এবার সুপ্রীমকোর্টে মামলা, ব্যাপক চাপানউতোর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকেই রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবির থেকে ক্রমাগত শোনা যাচ্ছিল রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা। পাশাপাশি রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার কথাই বলেছেন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে আসা সরকার কি পড়ে যেতে চলেছে রাষ্ট্রপতির কথায়? এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছেই। কিন্তু তারই মাঝে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন আইনজীবী ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন, বাংলার নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে 356 ধারা জারি করা হোক।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দাবি করেছেন, বাংলায় আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। যেভাবে শাসক দলের কর্মী এবং দুষ্কৃতীরা বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে, তা যথেষ্ট অমানবিক এবং বে-আইনি। একই সাথে সুপ্রিম কোর্টের কাছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির যে আবেদন করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে রাজ্যে 356 ধারা প্রয়োগের। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট থেকে যেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়, যারা বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঘনশ্যাম দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর বাংলায় অন্তত 16 জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই মামলার অংশীদার হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নাম দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে তৃণমূলের জয়লাভের পর ক্রমাগত একদিকে বিজেপি অন্যদিকে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা চলেছে।

এমনকি রাজ্যপাল বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে তথাকথিত হিংসা কবলিত এলাকা, যেমন- শীতলকুচি, নন্দীগ্রাম পরিদর্শন করেছেন। অন্যদিকে তৃণমূ্লের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ উঠেছে, শাসকদলের কর্মীরাও কিন্তু আক্রান্ত হয়েছেন। সেদিকে রাজ্যপাল বিশেষ কোন নজর দেননি। তবে জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশংসা করেছেন। আপাতত সুপ্রিমকোর্টে এই মামলার শুনানি কি হয় এবং এই মামলার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সে দিকে নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!