বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভবনা আরও উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ! ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকালই রাজ্যের প্রশাসনিক অবস্থা সম্পর্কিত রিপোর্ট দিতে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। আর সেখানেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি যে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সে কথাই বোঝা গেছে তাঁর কথায়। সেইসঙ্গে নাম না করে সরাসরি রাজ্যের ডিজি এবং পুলিশ কমিশনারকেও তিনি যে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি, সে কথাই দেখা গেছে। বস্তুত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। তবে এই প্রসঙ্গে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর এই আলাপ-আলোচনা তাঁকে যে বিজেপি সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সে কথাও শোনা গেছে বিভিন্ন কূটনৈতিকদের কথায়। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হবার পরে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বেশ কয়েকদিন জন সংযোগ থেকে দূরে ছিলেন বলে জানা যায়। তবে ইতিমধ্যে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তাঁকে মহাসমারোহে চা চক্রে যোগ দিতে নিয়ে যান দলের কর্মীরা। আর সেখানেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি বাংলাতে রাষ্ট্রপতি শাসন সম্পর্কে নতুন জল্পনা উস্কে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এবং তাঁর বক্তব্য যে রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ সে কথা মনে করছেন কেউ কেউ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত এদিন তিনি বলেন বিজেপি কখনোই নৈতিকভাবে ৩৫৬ ধারা জারি হওয়ার পক্ষে নয়। অন্যদিকে ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকেই তিনি মান্যতা দিয়েছেন এবং বিজেপিও যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই ক্ষমতায় আসবে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সে ক্ষেত্রে যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকে তবে ৩৫৬ ধারা জারি করার ক্ষেত্রে তিনি সমর্থন জানাবেন সেই কথাই শোনা গেছে তাঁর কণ্ঠে। সেক্ষেত্রে যদি তাদেরকে রাষ্ট্রপতি শাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়, তবে তেমনটাই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে তাঁর মতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে সব ঝামেলা, রিগিংয়ের ঘটনা দেখা গেছিল আগে। গোটা দেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও বাংলাতে এত অশান্তি কেন সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়কেও তুলে ধরেছেন সকলের সামনে তবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে এবং মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই যে দায়িত্ব নিতে হবে, সে কথাই জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে রাজ্যপালের বক্তব্যকেও তিনি সমর্থন করেছেন। তাঁর মতে পুলিশ প্রশাসন সরকারের হিংসার দিকে সর্বতোভাবে সমর্থন করছে। রাজ্যপাল যে সত্যি কথাই বলেছেন সেই কথাও শোনা গেছে তাঁর কণ্ঠে। অন্যদিকে বাংলায় যা ঘটছে, তাতে এমন পরিস্থিতি যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই এগোচ্ছে, সেকথাও বোঝা যাচ্ছে সায়ন্তন বসুর কথায়। অন্যদিকে বিজেপির দলীয় কর্মীদের হত্যা থেকে শুরু করে অরাজকতা সমস্ত কিছুকেই সামনে এনেছেন দিলীপ ঘোষ। তবে বাংলার মানুষ যে আগামী ভোটে এর বিরুদ্ধে পরিবর্তন আনবেন, সেই আশাই রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আপনার মতামত জানান -