এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ” বাংলায় শিক্ষকদের দুর্দশা, মাসের পর মাস ধর্না দিচ্ছেন, দিদিমণি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রাখতে পারেননি” – কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির

” বাংলায় শিক্ষকদের দুর্দশা, মাসের পর মাস ধর্না দিচ্ছেন, দিদিমণি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রাখতে পারেননি” – কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মুখেই পার্শ্বশিক্ষক ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের অবস্থান, বিক্ষোভ, আন্দোলন, অনশন বারবার অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলকে। গতকাল বাগদেবীর আরাধনার দিনেই একাধিক দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে আদি গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে দেখা গেল বেশকিছু মাদ্রাসা শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাবন্ধুদের। পুলিশের চেষ্টায় উপরে উঠে এলেন তাঁরা। আজ, এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করলেন ও ব্যঙ্গ বিদ্রূপে জর্জরিত করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, গতকাল মাদ্রাসার বেশকিছু শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাবন্ধু তাঁদের একাধিক দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির একেবারে সামনে এসে আদি গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে জলে নেমে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে এগিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চেষ্টায় তাঁদের বিরত করা হয়। অনুরোধ করে তাঁদের জল থেকে তোলা হয়। এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে দুষলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আজ সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মাস্টারমশাইদের নালায় ফেলে দিয়েছেন। তিনি জানালেন যে, অনেক সমস্যায় পড়লেই মানুষ দুর্গন্ধযুক্ত নালাতে নামতে বাধ্য হয়। গোটা রাজ্যে শিক্ষকদের এরকম দুরবস্থা। তিনি জানালেন, শিক্ষকদের দুর্দশা মাসের পর মাস তাঁরা ধরনা দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী(দিদিমনি) তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তা তিনি রাখতে পারেনি। তার জন্য এধরনের কাজ করছেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর একাধিক বিষয় নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। বাম-কংগ্রেস জোট সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, বাম কংগ্রেসের এই জোট সাধারণ মানুষের বা কর্মীদের হচ্ছেনা। কয়েকজন নেতার অস্তিত্ব রক্ষায় এই জোট করা হচ্ছে। গত নির্বাচনে কংগ্রেস হাফ আর সিপিএম সাফ হয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও এই দুই দলের একই রকম অবস্থা দেখা যাবে।

সম্প্রতি, মুম্বাইতে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। গতকাল তাঁদের এই সাক্ষাৎ তীব্র জল্পনা তুলে দেয় রাজনৈতিক মহলে। তবে, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, আরএসএস প্রধানের সঙ্গে তাঁর আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়েছিল গতকাল। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, আরএসএস হল একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সংগঠনের প্রধান বহু মানুষের কাছে যান। বাংলার বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে আগেও দেখা করেছেন তিনি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই।

আবার আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সম্প্রতি তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র করা হলো। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, বহু নেতাকে সান্তনা পুরস্কার দিয়ে দলে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই নেতারা এত বছর ধরে যে দুর্ব্যবহার সহ্য করেছেন, এই ললিপপে তাঁরা ভুলবেন না। এভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!