এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলায় শোচনীয় পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়াতে বিশেষ সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের

বাংলায় শোচনীয় পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়াতে বিশেষ সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেও মাত্র ৭৭ টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে বিজেপিকে। বিধানসভা নির্বাচনে মেরুকরণের চেষ্টা যথেষ্টভাবে করেছিল বিজেপি। বারবার মেরুকরণের চেষ্টা, হিন্দুত্ববাদের উপরে অত্যাধিক জোর দেওয়ার কারণে সংখ্যালঘু ভোট চলে গেছে তৃণমূলের ঝুলিতে। যার ফলে বড়সর বিপর্যয়ের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। তাই এবার থেকে সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে আনতে বিশেষ পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।

বিজেপির মেরুকরণের চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিমণ্ডল থাকার কারণে হিন্দুত্ববাদ রাজ্যে তেমন কাজে লাগেনি। পরিবর্তে সংখ্যালঘু সমাজ আস্থা রেখেছে শাসকদল তৃণমূলে। বিষয়টি বিজেপি নেতৃত্ব অনুধাবন করতে পারছেন। বুঝতে পারছেন, সংখ্যালঘু সমাজকে দূরে রেখে কখনোই রাজ্যের ক্ষমতা লাভ করা সম্ভব নয়। তাই, এবার থেকে সংখ্যালঘু সমাজের মানুষকে বিজেপিমুখী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। বিজেপির চিরপরিচিত কঠোর হিন্দুত্বের পথ থেকে সরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির।

পরিবর্তে সংখ্যালঘু সমাজকে বেশি করে কাছে টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। এই উদ্দেশ্যে বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রী ইসরাত জাহানকে সংখ্যালঘু মোর্চার কেন্দ্রীয় সম্পাদক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হল। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা। ইতিপূর্বে ভোটের প্রচারে ইসরাত জাহান পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় পদ দিয়ে তাঁর ওপরে গুরুদায়িত্ব দিল বিজেপি। সংখ্যালঘু শাখার আহ্বায়ক থেকে তাঁকে আনা হল এবারে কেন্দ্রীয় পদে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চাকে নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, হিন্দুত্ববাদই যদি প্রচার করা হয়, তবে দলের সংখ্যালঘু মোর্চা রাখার প্রয়োজনীয়তা কতটা? দলের সংখ্যালঘু মোর্চাও দলের উপরে তেমন সন্তুষ্ট নন। বেশকিছু সংখ্যালঘু নেতা দল ছেড়ে দিয়েছেন, অনেকে তৃণমূলে যোগদান করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বিজেপিতে থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য কিছু করা সম্ভব নয়।

সম্প্রতি বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেন জানালেন যে, সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে কখনই বাংলার নির্বাচনে জয় লাভ করা যাবে না। যা দলকে বুঝতে হবে। উত্তর প্রদেশ সহ যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি ক্ষমতা দখল করেছে, সেখানে সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জন করতে হয়েছে বিজেপিকে, তারপর বিজেপির সাফল্য এসেছে। বাংলার ক্ষেত্রেও এ ব্যাপারে বিজেপির মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

নির্বাচনের এই ফলাফলের পর থেকেই সংখ্যালঘু নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব দেবার কথা চিন্তা করেছে গেরুয়া শিবির। শুধুমাত্র হিন্দুত্বকে ব্যবহার করে যে সাফল্য আনা যাবে না, তা হয়তো বুঝতে পেরেছেন দলের নেতারা। এ কারণেই পরিচিত হিন্দুত্বের পথ থেকে কিছুটা সরে এসে, এবার থেকে সংখ্যালঘু সমাজের মানুষকে দেয়া হবে বিশেষ গুরুত্ব বিজেপিতে। সংখ্যালঘু সমাজের মনজয় করতে চলবে বিশেষ প্রচেষ্টা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!